একটি আদর্শ গৃহীত না বর্জিত সেটা নির্ধারণ হবে তার মূলনীতির উপর ভিত্তি করে।
যদি কোন আদর্শে বিদআহ থাকে তাহলে সেই আদর্শ বর্জিত এবং এর ধারকবাহক বা নীতিনির্ধারকদের বলা হয় বিদআতী। তবে এই আদর্শ সংশ্লিষ্ট সকলেই বিদআতী নয়। যদিও দলগতভাবে তাদেরকে বিদআতী বলা হবে। তবে ব্যক্তি বিশেষ সকলের হুকুম একই হবে না।
একইভাবে কোন আদর্শে কুফরের সংমিশ্রন থাকলে উক্ত আদর্শ আবশ্য পরিত্যাজ্য। চাই কুফরের পরিমান কম হোক বা বেশী। অনেকে মনে করেন কোন আদর্শে ১/২ বিষয় কুফর থাকলে সমস্যা নেই। তাদের উক্ত মনোভাব মোটেই সঠিক নয়। এটি একটি প্রসিদ্ধ ভ্রান্তি। কারণ ঈমান-কুফর কখনো একই সাথে থাকে না, থাকতে পারে না। ঈমানের পূর্ব শর্ত হচ্ছে কুফর মুক্ত হওয়া। সুতরাং যতক্ষণ ১টি হলেও কুফর থাকবে ততক্ষণ তা মৌলিকভাবে কুফরী আদর্শ হিসেবেই পরিগনিত হবে। এটিই বিশুদ্ধ কথা। এই আদর্শের মূল ধারকবাহক ও নীতিনির্ধারকরা সুনিশ্চিতভাবে কাফের। তবে না বুঝে দুনিয়াবী স্বার্থে এত লিপ্ত প্রত্যেকের উপর কুফর-রিদ্দাহর হুকুম দেয়া যাবে না। তবে হ্যাঁ, তারা সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতার মধ্যে আছে এবং তাদেরকে দলগতভাবে মুরতাদ বলা উচিত।
সেকুলারিজমের মূল হচ্ছে ধর্মমুক্ত পৃথিবী। ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রে ধর্মের কোন গণ্ডি থাকবে না। এইজন্য 'সেকুলারিজম'কে বলা হয় 'ধর্মহীনতা' বা 'আললা-দ্বীনীয়্যাহ'।
বাংলাদেশে যে সমস্ত দল নিজদের সুশীল প্রমাণ করতে সেকুলার বলে তারা শিরকে আকবারে লিপ্ত।
মুফতী তাকী উসমানী হাফি. তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিমে 'ইমারাহ' তথা 'নেতৃত্ব' এর অধ্যায়ের শুরুতেই 'সেকুলারিজম'কে শিরকে আকবার বলে প্রমাণ করেছেন।
বিএনপি হলো দলগত মুরতাদ। তারা দলগতভাবে সবাই কুফরে লিপ্ত। আর তাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সুনির্দিষ্টভাবেই মুরতাদ। একজন সেক্যুলার জন্মগত মুশরিকের চাইতেও জঘন্য কাফির।
তাই জেনেবুঝে কোন মুসলিমের জন্য বিএনপিকে সমর্থন করা, তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করা, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া ও তাদের দালালী করা জায়িয নেই। বরং ক্ষেত্র বিশেষে তার ঈমানও চলে যাওয়ার আশংকা প্রবল যদি বিএনপির চিন্তা-ফিকিরের সঙ্গে জেনেবুঝে একাত্মতা পোষণ করে।
মুলঃ শাইখ হাসসান সাবিত যুবাইর হাফিঃ
শরয়ী সম্পাদনাঃ বান্দা Hm Sulayman