কোন ব্যক্তি রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।
অনুরুপভাবে রোযা রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাযা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে। উল্লেখ্য যে : পানাহার বলতে এমন জিনিস ভক্ষণ করা, যা দ্বারা পেটের ক্ষুধা নিবারণ হয়, তাই মাটি-ইট ইত্যাদি খেলে রোজা ভঙ্গ হবে, তবে কাফফারা আসবে না। অথবা ব্যক্তি কোন চাহিদা পূরণ বা নেশার কারণে যা কিছু খেয়ে থাকে। তাই বিড়ি-সিগারেট-হুক্কা খেলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাফফারা আসবে।
সমকামিতায় লিপ্ত হলে কাযা-কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হবে।
সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও আযান শোনা যায়নি বা এখনো ভালোভাবে আলো ছড়ায়নি এ ধরনের ভিত্তিহীন অজুহাতে খানাপিনা করলে বা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে কাযা-কাফফারা দু’টোই ওয়াজিব হবে।
স্ত্রীর মুখের থুথু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে, এবং কাযা-কাফফারা দুটোই ওয়াজিব হবে।
ঔষধ খেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা - কাফফারা দুটিও ওয়াজিব হবে।
উপরোক্ত কারণে কাযা-কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হয়।