প্রথম বিষয়ঃ
অনেকে মসজিদে যেয়ে রুকু অবস্থায় ইমামকে পায়। এমতবস্থায় প্রায় সবাই তাকবির বলে হাত বেধে দাড়ায় তারপর রুকুতে শরিক হয় যার ফলে রুকু মিস করে অনেক সময়।
অনেকে আবার রুকুতে যেতে যেতে তাকবির বলে রুকুতে শরিক হয়।
দুটি পদ্ধতিই ভুল।
ইমামকে রুকুতে পেলে ফরজ কাজ হলো তাকবিরে তাহরিমা বলা। এটা ফরজ। এটা দিয়ে নামাজে শরিক হবে। অর্থাৎ প্রথমে সোজা দাড়াবে। দাড়ানো অবস্থায় হাত তুলে তাকবির বলবে। তবে হাত বাধবে না। বরং হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দিবে। আবার তাকবির বলে রুকুতে যাবে। রুকুতে যাওয়ার জন্য এই তাকবির বলা সুন্নাত। না বলতে পারলেও সমস্যা নাই। কিন্তু সোজা হয়ে প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ। রুকুতে যেতে যেতে রুকুর তাকবির বলে নামাজে শরিক হলে নামাজ হবে না। পুনরায় পড়তে হবে।
যদি অন্তত ইমামকে রুকুতে আধা সেকেন্ড ও পায় তাহলেও ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। অর্থাৎ সে রুকুতে যাওয়ার আধা সেকেন্ড পর ইমাম রুকু থেকে উঠলেও রাকাত পেয়েছে গন্য হবে। মূল শর্ত হলো ইমামকে রুকুতে পাওয়া অন্তত অল্প সময়ের জন্য হলেও। সামান্য সময় পেলেও সে ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। অনেকে বলে তিন তাসবিহ সময় পরিমাণ পেতে হবে। কথাটি সঠিক নয়। কিছু সময় পরিমাণ পেলেই হবে।
দ্বিতীয় বিষয়ঃ
যারা মাসবুক তারা ইমাম সালাম ফিরানো শেষ করার আগেই উঠে দাড়ায়, ১ সালাম শেষ হতেই দাড়িয়ে যায়। এটি ভুল পদ্ধতি।
উভয় সালাম ফিরানো শেষ হবার পরেই মাসবুক উঠে দাড়িয়ে বাকি নামাজ শেষ করবে।
তৃতীয় বিষয়ঃ
মাসবুক ব্যক্তি অনেক সময় ভুলে ইমামের সঙ্গে সালাম ফিরিয়ে ফেলে। যদি ইমামের সঙ্গে সঙ্গে অথবা ইমামের আগে সালাম ফিরায় তাহলে নামাজে সমস্যা হবে না এবং শেষে সাহু দিতে হবে না। কিন্তু যদি ইমামের পরে সালাম ফিরায় তাহলে অবশ্যই শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে। এটা আমরা কেউই করি না বলতে গেলে। আর যদি মাসবুক মনে করে ইমামের সঙ্গে সালাম ফিরানো নিয়ম তাহলে তার নামাজ নস্ট হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া ওয়াজিব। তারমানে ইমামের এক সালাম ফেরানো শেষ, তারপর মুক্তাদি সালাম ফেরাচ্ছে এটা হলে সাহু সিজদা দিতে হবে। আর যদি ইমামের সাথে সাথেই দেরি না করে সালাম ফিরায় তাহলে সাহু দিতে হবে না। মাসবুক ভুলে ইমামের পরে উভয়দিকে বা একদিকে সালাম ফিরালেই সাহু সিজদা দিবে।
চতুর্থ বিষয়ঃ
অনেক সময় মসজিদে যেয়ে ইমামকে সিজদারত অবস্থায় পেলে দাড়িয়ে থাকি যে কখন সিজদা থেকে উঠবে তখন শরিক হব! এটি ভুল কাজ। বরং উচিত হলো ইমামকে যে অবস্থায় পেয়েছে সেভাবেই নামাজে শরিক হওয়া। যদিও সিজদারত অবস্থায় পেলে ঐ রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে না। কোন রাকাত ধর্তব্য হতে হলে কমপক্ষে ঐ রাকাতের রুকু পেতে হবে।
উক্ত বিষয়গুলি খেয়াল রাখি।