Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

সরকারি চাকরির বিধানঃ ২য় পর্ব

Hm Sulayman

১১ মে, ২০২৫

Share Copy Link

সেনাবাহিনী, র‍্যাব, সীমান্তরক্ষী, বিডিআর, নৌবাহিনী, পুলিশ সহজ কথায় সামরিক বাহিনী তথা ডিফেন্স ফোর্সে চাকুরির বিধান নিয়ে লম্বা আলোচনা আছে।

বর্তমান সময়ের বিবেচনায় মৌলিকভাবে ডিফেন্স ফোর্সে চাকুরি করা জায়েজ নয় বলেই মনে হয়। কুরআন সুন্নাহর দলিলের আলোকে এটাই প্রতীয়মান হয়। অবশ্য ঢালাওভাবে হারাম বা কুফর বিষয়টি এমন নয়। বরং জটিল এই মাসআলার ক্ষেত্রে টু দ্যা পয়েন্ট অথবা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বিস্তৃত মাসআলা কিতাবে পাওয়া যায় না। এরজন্য ডিফেন্স ফোর্সের প্রতিটি ক্যাটাগরি পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই করে এর মাসআলা বের করতে হবে। যা বেশ দুরূহ ব্যাপার। আলহামদুলিল্লাহ, বিষয়টি নিয়ে সাধ্যমত বিস্তৃত অধ্যায়ন, ফিকির, গবেষণা এবং খোজ নেয়ার পরে মোটামোটি আকারে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌছেছি। মৌলিকভাবে ডিফেন্স ফোর্স বা উল্লেখিত সামরিক বাহিনীগুলোর চাকুরির পজিশন অবস্থা ভেদে তিন প্রকার বিধান আরোপিত হবে।

মূলত সরকারি চাকুরির তিনটি পর্যায় হতে পারেঃ

  1. তাগুতি বিধি-বিধান বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা। এটা স্পষ্ট কুফর।

  2. তাগুতি বিধি-বিধান বাস্তবায়ন নয়, তবে কাজগুলো মৌলিকভাবে হারাম এমন কাজ করা। এটা হারাম কবিরা গোনাহ। তবে কুফুরি নয়।

  3. মৌলিকভাবে কাজ হারাম নয়, তবে গভীরভাবে লক্ষ করলে বোঝা যায়, এর দ্বারাও তাগুতি শাসনব্যবস্থার একধরনের সহযোগিতা হয়। এটা স্পষ্ট হারাম নয়, তবে কখনো কখনো প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় তা নাজায়েজ বা মাকরুহ বা বৈধ হতে পারে। এখন এই তিন প্রকারকে সামনে রেখেই মুলত আমরা আলোচনা পেশ করব ইনশাআল্লাহ।

(১) কেউ যদি তাগুতি এই সৈন্যবাহিনীতে এই নিয়তে যোগ দেয় যেঃ সে প্রচলিত সাংবিধানিক সমস্ত বিধি-নিষেধ প্রতিষ্ঠায় সহযোগী হবে, কুফর প্রতিষ্ঠা, অথবা কাফিরদের সহযোগিতা করা, অথবা প্রয়োজনে নিরাপরাধ মুমিনের রক্ত ঝরানোর ক্ষেত্রে পিছপা হবে না অথবা আল্লাহ তাআলার সুস্পষ্ট বিধি-নিষেধ লঙ্ঘণ করতে পিছপা হবে না, চাকুরি বাচানোর জন্য জেনে বুঝে এমন নিয়তে যারা যোগদান করবে, অথবা যারা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে, লেখালেখি করে, মাঠে ময়দানে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে গনতন্ত্র এবং সেক্যুলারিজম রক্ষার জন্য এসব তাওহিদের ঝাণ্ডাবাহী লোকদের বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় গুলি চালায়; তারা মুরতাদ বলে গন্য হবে। তারা দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাবে। (1)

অনুরুপভাবে যারা জাতিসংঘের হয়ে অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে বা মুসলিম জনগনের বিরুদ্ধে কুফফার রাষ্ট্রের পক্ষে অস্ত্রধারণ করে, এবং এই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার কারণে গর্ববোধ করেঃ এরাও মুরতাদ বলে বিবেচিত হবে, দ্বীন থেকে বের হয়ে গিয়েছে বলে গণ্য হবে। মুসলমানের বিপক্ষে কাফিরদের পক্ষ হয়ে লড়াই করা আক্রমণ করা স্পষ্ট কুফুরি। (2) যারা গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ রক্ষার জন্য নির্বিচারে মুসলিম ভাইদেরকে দ্বীনের প্রতি আক্রোশ হয়ে আটক করে, অথবা মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মজা পায়ঃ এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মুরতাদ বলে গণ্য হবে। (3)

বিশেষত যারা কর্নেল, মেজর, ডিআইজি, সেনাপ্রধাণ, কমান্ডার এবং এই প্রধান ব্যক্তিত্বতের অত্যান্ত নিকবর্তী সেনাপ্রধানরা এজাতীয় কাজের কমান্ড করে থাকে। এরা চিন্তা চেতনায় সম্পূর্ণ শরীয়াহ বিরোধী হয়ে থাকে বেশিরভাগ। মোটকথা যারা উপরোক্ত চিন্তা-চেতনা লালন করে এবং শরীয়াহ বিরোধী হয়ে থাকেঃ এই মাসআলা তাদের ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে।

আল্লামা আব্দুল মালেক সাহেব হাফিজাহুল্লাহ বলেনঃ ঈমান তখনই অস্তিত্ব লাভ করে যখন ইসলামের সকল অকাট্য বিধান ও বিশ্বাস মন থেকে কবুল করা হয়। পক্ষান্তরে এসবের কোনো একটিকেও অস্বীকার করার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।( মাসিক আল কাউসারঃ মার্চ, ২০১৩ সাল )

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে এইপ্রকার ডিফেন্স ফোর্সের বিধান হলোঃ এরা দলগত মুরতাদ বলে গন্য হবে। অর্থাৎ, পুরো জামাতের উপর মুরতাদের হুকুম আরোপিত হবে। হ্যা, ব্যক্তিগতভাবে কেউ আবশ্যিকভাবে বাধ্য থাকতে পারে বা শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন ওজর /কারণ থাকতে পারে। সেটা যাচাই করে তারপর সেই ব্যক্তির উপর বিধান আসবে।

উপরোক্ত পদে যেই টিম কাজ করে, সেই টিম বা দল দলগতভাবে মুরতাদ। মানুষকে কাফির বলার প্রকার দুইটি (১) তাকফিরে আমঃ ব্যাপকভাবে তাকফির করা বা কাফির বলা। জড়িত প্রত্যেককে কাফির বলা দলগতভাবে, সুনিদৃষ্ট কাউকে নয়। (২) তাকফিরে মুআইয়ানঃ ব্যক্তিবিশেষ নিদৃষ্টভাবে কাউকে কাফির বা মুরতাদ বলা। এটি খুবই সেন্সিটিভ এবং অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণ কাউকে কাফির সুনিদৃষ্টভাবে বলতে হলে নিজের মধ্যে পর্যাপ্ত ঈলম থাকা আবশ্যক, নতুবা কোনভাবেই একজন সাধারণ মানুষের জন্য কোন ব্যক্তিকে হুটহাট করে কাফির ফতোয়া দেয়া কবিরা গোনাহ, বরং আরো ভয়াবহ।

কিন্তু তার সেই কাজ যে কমপক্ষে কবীরা গোনাহ হবেঃ এব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। (4) এবং এই পর্যায়ে কাজ করা কারোর জন্যই জায়েজ নাই এবং তার বেতন হালাল হবে না।

প্রসঙ্গত এখানে আল্লামা আব্দুল মালেক সাহেব হাফিজাহুল্লাহ এর একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ যারা শরীয়তের শুধু ‘শান্তির বিধান গ্রহণ করেন আর জিহাদের বিধানকে সন্ত্রাস বা উগ্রবাদিতা বলেন; উপদেশের কথাগুলো গ্রহণ করেন আর হদ-তাযীর ও কিসাসের বিধান বর্জনীয় মনে করেন; ইবাদতের বিষয়গুলো গ্রহণ করেন, আর লেনদেন ও হালাল-হারামের বিধান মানতে অসম্মত থাকেন; ব্যক্তিগত জীবনের বিধিবিধান গ্রহণ করেন, কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্র-পরিচালনার বিধি-বিধান (প্রশাসন, নির্বাহী ও বিচার-বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট) সম্পর্কে বিরূপ থাকেন; অথবা ইবাদত ও লেনদেনের বিধান মানেন, কিন্তু বেশ-ভূষা, আনন্দ-বিষাদ, পর্ব-উৎসব ও জীবন যাপনের আদব কায়েদার ইসলামী নির্দেশ ও নির্দেশনার প্রতি বিরূপ থাকেন বা মানাকে জরুরি মনে করেন না এরা সবাই ইসলামের কিছু অংশের অস্বীকার বা কিছু অংশের উপর বিরুদ্ধপ্রশ্নের কারণে নিজের ঈমান হারিয়ে বসেছেন। ( মাসিক আল কাউসারঃ মার্চ, ২০১৩ সাল )

(২) যারা ডিফেন্স ফোর্স তথা উল্লেখিত বাহিনীতে যোগদান এজন্য করে যেঃ এখানে গেলে প্রচুর টাকা পাওয়া যাবে, সুদ ঘুষের টাকা পাবে, যদিও অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের জন্য জুলুম করা লাগতে পারে, তাদের সব খারাবি জেনেও যে অতিরিক্ত টাকা পয়সা অর্জনের জন্য যাবে, এবং কখনো কখনো বাধ্য হয়ে মুসলিমদের বিপক্ষে তাকে অস্ত্রধারণ করতে হয়; সে কবিরা গোনাহ করবে এবং তার এই চাকুরি অবৈধ বলে গন্য হবে এবং অন্যায়ভাবে যা গ্রহণ করবে তা হারাম উপার্জন বলে বিবেচিত হবে, (5) এবং যদি কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে থাকে নিজের চাকুরি বাচানোর জন্য ( সে দ্বীন ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ রেখে হত্যা করেছে বিষয়টি এমন নয়) তাহলে এমন ব্যক্তির ব্যাপারে কেউ কেউ মুরতাদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন। ( তবে সহীহ কথা হলোঃ এমন ব্যক্তি মুরতাদ হবে না (6) তবে তার এই কবীরা গোনাহের পরিণতি ভয়াবহ।) এমন সেক্টরে চাকুরি করা নাজায়েজ, তবে তার নায্য বেতন হালাল হবে। (7)

(৩) যেই ব্যক্তি সেক্যুলার রাষ্ট্রে উপরোক্ত কোন উদ্দেশ্যে নয়, বরং দেশ এবং জনগনের সেবা করার মানসেই ডিফেন্স ফোর্সে চাকুরি নিতে চায় অথবা বাধ্য হয়েই সে চাকুরিতে জয়েন করছে অন্য উপায় না থাকার কারণে তাহলে এমন ব্যক্তি ভ্রষ্টতায় লিপ্ত আছে। সেক্ষেত্রে এমন ব্যক্তির জন্য সৈন্যবাহিনীতে চাকুরি করা মাকরুহ। হারামের কাছাকাছি, তবে ইনকাম হালাল হবে। অতিসত্তর তাকে দ্রুত এই চাকুরি ছেড়ে ভিন্ন আরেকটি চাকুরিকে শিফট হতে হবে। সন্দেহমুক্ত কোন চাকুরি তাকে খুজতে হবে। ( তবে যদি সে এমন পোস্টে চাকুরি করেঃ যেখানে সরকারি বড় বড় কাজের কোন সম্পৃক্ততা নাই, এবং জনগনের হক্ব নস্ট করারও আশঙ্কা নাই; বরং জনগনের সেবার জন্য নিম্ন পদস্থ কোন সেক্টর যেমনতঃ হাবিলদার, দারোয়ান, কনস্টেবল; তাহলে এমন ব্যক্তির চাকুরি করার সুযোগ আছে। (9) কিন্তু তার উচিত ভিন্ন কোন চাকুরিতে জয়েন করা।

তাছাড়া ডিফেন্স ফোর্সের কিছু বিধি-নিষেধ ক্বানুন রয়েছে। যেমন এসব ফোর্সের বেশিরভাগ জায়গায় দাড়ি কেটে ফেলতে বলা হয়। দাড়ি না কাটলে প্রমোশন হয় না। কোথাও দাড়িকাটা বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে, বেপর্দা ফ্রি মিক্সিং তো আছেই। (10) জাতীয়তাবাদী পতাকাকে সম্মান জানাতে হয়। ইত্যাদি এসব কিছু যদি বাধ্যতামুলক হয়ে থাকে; তাহলে চাকুরির জন্য এইসব কাজ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। (11) দ্রুত এমন চাকুরি ছাড়া জরুরী। তবে শর্তসাপেক্ষে বেতন হালাল হবে, যা ২ এবং ৩ নাম্বার পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

(1) عن عبد الله بن مسعود قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( لا يحل دم امرئ مسلم يشهد أن لا إله إلا الله ، وأني رسول الله إلا بإحدى ثلاث : النفس بالنفس ، والثيب الزاني ، والتارك لدينه المفارق للجماعة. روى البخاري: 6484 ومسلم 1676

وإن اعتقد أنه غير واجب، وأنه مخير فيه، مع تيقنه أنه حكم الله، فهذا كفر أكبر، وإن جهله وأخطأه، فهذا مخطئ، له حكم المخطئين (مدارج السالكين: ٢٥٩/١)

قال ابنُ جريرٍ: (يقولُ: ومن يتَّخِذْهم منكم بِطانةً من دونِ المؤمنينَ، ويؤثِرِ المقامَ معهم على الهِجرةِ إلى رَسولِ اللهِ ودارِ الإسلامِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ يقولُ: فالذين يَفعَلون ذلك منكم هم الذين خالفوا أمرَ اللهِ، فوَضَعوا الوَلايةَ في غيرِ مَوضِعِها، وعَصَوا اللهَ في أمْرِه. وقيل: إنَّ ذلك نزل نهيًا من اللهِ المؤمنينَ عن موالاةِ أقرِبائِهم الذين لم يُهاجِروا من أرضِ الشِّركِ إلى دارِ الإسلامِ: تفسير الطبري: 383/11)

وقال السَّعديُّ: (وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنكُمْ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ؛ لأنَّهم تجَرَّؤوا على معاصي اللهِ، واتَّخَذوا أعداءَ اللهِ أولياءَ، وأصلُ الولايةِ: المحبَّةُ والنُّصرةُ، وذلك أنَّ اتخاذَهم أولياءَ موجِبٌ لتقديمِ طاعتِهم على طاعةِ اللهِ، ومحَبَّتَهم على محبَّةِ اللهِ ورَسولِه)

(2) فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ وَاللَّهُ أَرْكَسَهُم بِمَا كَسَبُوا أَتُرِيدُونَ أَن تَهْدُوا مَنْ أَضَلَّ اللَّهُ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا وَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُوا فَتَكُونُونَ سَوَاء فَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ أَوْلِيَاء حَتَّىَ يُهَاجِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ… [النساء: 88-89] .

قال السَّعديُّ: (المرادُ بالمُنافِقين المذكورينَ في هذه الآياتِ: المُنافِقون المظهِرون إسلامَهم، ولم يهاجِروا مع كُفْرِهم، وكان قد وقع بين الصَّحابةِ رِضوانُ اللهِ عليهم فيهم اشتباهٌ، فبعضُهم تحرَّج عن قتالِهم، وقَطَع موالاتَهم بسبَبِ ما أظهَروه من الإيمانِ، وبعضُهم عَلِم أحوالَهم بقرائِنِ أفعالِهم، فحَكَم بكُفْرِهم، فأخبرهم اللهُ تعالى أنَّه لا ينبغي لكم أن تشتَبِهوا فيهم ولا تشُكُّوا، بل أمْرُهم واضِحٌ غيرُ مُشكِلٍ، إنَّهم مُنافِقون قد تكرَّر كُفْرُهم، وودُّوا مع ذلك كُفْرَكم، وأن تكونوا مِثْلَهم، فإذا تحقَّقْتُم ذلك منهم فَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ أَوْلِيَاءَ، وهذا يستلزِمُ عَدَمَ محبَّتِهم؛ لأنَّ الوَلايةَ فرعُ المحبَّةِ.( تفسير السعدي: ص192)

(3) قَولُ الله تعالى: وَمَن يَتَوَلَّهُمْ مِنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ [المائدة: 51] .

قال ابنُ جريرٍ: (من تولَّاهم ونصَرَهم على المؤمنين فهو من أهلِ دينِهم ومِلَّتِهم؛ فإنَّه لا يتولَّى متولٍّ أحدًا إلَّا وهو به وبدينِه وما هو عليه راضٍ، وإذا رَضِيَه ورَضِيَ دينَه فقد عادى ما خالفه وسَخِطَه، وصار حُكمُه حُكمَه ( تفسير ابن جرير: 508/8)

(4) عن علي رضي الله عنه: لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ (بخاري: 4340، مسلم: 1840)

قال الطبري – رحمه الله - :عن ابن عباس قال : فأخبر الله سبحانه أنه من كفر من بعد إيمانه : فعليه غضب من الله وله عذاب عظيم ، فأما من أكره فتكلم به لسانه وخالفه قلبه بالإيمان لينجو بذلك من عدوّه : فلا حرج عليه ؛ لأن الله سبحانه إنما يأخذ العباد بما عقدت عليه قلوبهم .

" تفسير الطبري " ( 17 / 305 )

(5) والاستئجار على المعاصي باطل فإن بعقد الإجارة يستحق تسليم المعقود عليه شرعا ولا يجوز أن يستحق على المرء فعل به يكون عاصيا شرعا." (المبسوط: کتاب الإجارات، باب الإجارۃ الفاسدۃ، ج:16، ص38، ط:دار المعرفة)

(6)أَخَذَ الْمُشْرِكُونَ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ فَلَمْ يَتْرُكُوهُ حَتَّى سَبَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- وَذَكَرَ آلِهَتَهُمْ بِخَيْرٍ ، ثُمَّ تَرَكُوهُ . فَلَمَّا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ : مَا وَرَاءَكَ؟ . قَالَ : شَرٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؛ مَا تُرِكْتُ حَتَّى نِلْتُ مِنْكَ ، وَذَكَرْتُ آلِهَتَهُمْ بِخَيْرٍ ؟! قَالَ : كَيْفَ تَجِدُ قَلْبَكَ ؟ . قَالَ : مُطْمَئِنًا بِالإِيمَانِ . قَالَ : إِنْ عَادُوا فَعُدْ . ٍرواه الحاكم في " المستدرك " ( 2 / 389 )

قال ابن حزم رحمه الله :

" اتَّفقُوا على أَن الْمُكْره على الْكفْر وَقَلبه مطمئن بالايمان انه لَا يلْزمه شَيْء من الْكفْر عِنْد الله تَعَالَى .. " انتهى .

"مراتب الإجماع" (61) . وينظر : "الإقناع في مسائل الأجماع" لابن القطان (2/272)

(7) الأجرة انما تكون في مقابلة العمل( شامي: كتاب النكاح: 307/4،زكريا)

او خياطا امره ان يتخذ له ثوبا على زي الفساق يكره له ان يفعله لانه سبب التشبه بالمجوس والفسقة ( شامي: كتاب الحظر والاباحة:562/9،ط.زكريا)

وعن محمد: رجل استاجر رجلا لصور له صورا او تماثيل الرجال في بيت او فسطاط فاني اكره ذلك واجعل له الاجر : (هندية: كتاب الاجارة: 450/4،قديم ، الفتاوي التاتارخانية: 130/15)

لو اجره دابة لينقل عليها الخمر او اجره نفسه ليرعى له الخنازير يطيب له الاجر وعنده وعندهما يكره( شامي: كتاب الحظر والاباحة: 562/9)

( فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغࣲ وَلَا عَادࣲ فَلَاۤ إِثۡمَ عَلَیۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورࣱ رَّحِیمٌ ( سورة البقرة:173)

قال أبو بكرٍ الجَصَّاصُ: (هذا أصلٌ في جوازِ إظهارِ كَلِمةِ الكُفرِ في حالِ الإكراهِ ( احكام القرآن: 192/3)

(9) عن عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ : " إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى..( صحيح البخاري: 1)

وان استاجره لينحت له طنبورا او بربطا ففعل طاب له الاجر الا انه ياثم به.( هندية: 450/4،زكريا)

وفي فتوى اهل سمرقند: اذا استاجر رجلا ينحت له طنبورا او بربطا ففعل يطيب له الاجر الا انه ياثم في الاعانة على المعصية وانما وجب له الاجر في هذه المسائل.( المحيط البرهاني: 446/11, البحر الرائق: 36/8)

(10) عن علي رضي الله عنه: لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ (بخاري: 4340، مسلم: 1840)

(11)قُلۡ أَطِیعُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا یُحِبُّ ٱلۡكَـٰفِرِینَ ( سورة ال عمران: 32)

Share Copy Link

মন্তব্য

সকল প্রসঙ্গ

২৭তম রজনী
অনলাইন কোর্স
অলিম্পিক
আংটি
আধুনিক মাসআলা
আধুনিক মাসাআলা
উম্মুল মু'মিনিন
ওকালতি
কাফফারা
কাযা
কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস
ক্রিকেট
ক্রিপ্টোকারেন্সি
ক্র্যাকড
খেলাধুলা
খেলাধুলা হতে উপার্জন
জর্দা
ডাক্তারি বিদ্যা
ডিফেন্স ফোর্স
তামাক
তারাবীহ
তালাক
দোআ
দোয়া
নবীজি
নবুয়তের সিলমোহর
নেশা
নৌবাহিনী
পাইরেটেড
পার্লামেন্ট সদস্য
পুলিশ
পেইড কোর্স
ফিদিয়া
ফুটবল
বিচারপতি
বিটকয়েন
বিড়ি
বিডিআর
ব্যবসায়
ব্যাডমিন্টন
ব্যারিস্টার
মদ
মাকরুহ
মুনাজাত
মেডিকেল
যাকাত
যাকাত-ফিতরা
রাস্তায় পাওয়া জিনিস
রোজা
রোজা ভঙ্গের কারণ
রোজার মাসআলা
রোজার মাসাআলা
রোযা ভঙ্গের কারণ
র‍্যাব
লাইলাতুল ক্বদর
লাইলাতুল বারাআত
শবে ক্বদর
শবে বরাত
শিক্ষক
সফটওয়্যার
সংবিধান
সরকারি চাকরি
সহশিক্ষা
সামরিক বাহিনী
সিগারেট
সেনাবাহিনী
স্ত্রী

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group