Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

প্রচলিত ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, অলিম্পিক খেলাধুলার হুকুম এবং তা থেকে উপার্জনের বিধান

Hm Sulayman

২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ভূমিকাঃ সাধারণভাবে শরীয়ত ফুটবল ক্রিকেট বা অন্য খেলাগুলাকে ঢালাওভাবে নিষিদ্ধ করেনি। বরং যদি শরীয়তের নিয়ম-কানুন রক্ষা করা হয় তাহলে এই খেলা জায়েজ হবে তো বটেই ক্ষেত্র বিশেষ সওয়াবের কাজ হবে। যদি আপনার এই খেলা শারিরিক ব্যায়াম তথা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য হয়ে থাকে অথবা ধর্মীয় এবং পার্থিব কোন উপকারিতা লাভের জন্য হয়ে থাকে অথবা কমপক্ষে মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি দুর করার জন্য খেলা হয়ে থাকে তাহলে এই খেলা জায়েজ হবে নিঃসন্দেহে। বরং দ্বীনি স্বার্থে শরীর চাঙ্গা করার জন্য খেললে সওয়াব হবে ইনশাআল্লাহ! তার জন্য শর্তঃ (১) উক্ত খেলাধুলার মধ্যে কোনপ্রকার গোনাহ অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। যেমন সেটা সুদ/ঘুষ/জুয়ার ভিত্তিতে হতে পারবে না, খেলাধুলায় কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করা যাবে না। যেমনটা জয়ী হলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দেয়! মারারামারি বিভিন্ন ফেৎনার অনুপ্রবেশ বন্ধ হতে হবে। (২) খেলায় জড়িত থাকার কারণে শরীয়তের যে কোন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কোন হুকুমের পরিপন্থী হতে পারবে না। তার কারণে দ্বীনের জরুরী বিষয় বাধাগ্রস্ত হতে পারবে না। বিশেষ করে নামাজ রোজা ইত্যাদি বিষয়গুলো যার উপর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত, যা দ্বীনের শ্রেষ্ঠ স্তম্ভ তা বাধাগ্রস্থ হতে পারবে না। খেলার সুবাদে নামাজ কাযা, রোজা ভঙ্গ করলে তা খেলা কখনোই বৈধ হবে না। গানবাদ্য নর্তকীর নৃত্য অশ্লীলতার অনুপ্রবেশ হতে পারবে না। বিশেষ করে নিজের চোখের হেফাজত করতে হবে। কোনপ্রকার বেপর্দা হওয়া যাবে না। সতর বের করা যাবে না। ফুটবল খেলায় হাটুর উপরে কাপড় বের করে খেলা হয় যা সুস্পষ্ট হারাম হবে। (৩) খেলাধুলায় জড়িত থাকার কারণে যদি দ্বীন থেকে দুরে সরে যায়, মসজিদ বাদ দিয়ে স্টেডিয়ামুখী হয় তাহলে ঐ খেলার উপর আল্লাহর গজব!! খেলায় জড়িত থাকার কারণে দ্বীনি এবং দুনিয়াবি জরুরী কাজগুলো ব্যাহত হতে পারবে না। যেমন খেলাধুলার কারণে পরিবারের অধিকারগুলো আদায় না করলে খেলাটা অন্যায় হবে অবৈধ হবে! উপরোক্ত শর্তগুলো যদি পরিপূর্ণরুপে পাওয়া যায় তবেই খেলা বৈধ!! যেমন বিভিন্ন মাদরাসায় আসরের পরে ক্রিকেট/ফুটবল খেলে, গ্রামে খেলে। উল্লেখিত শর্ত পূরণ হলে খেলা জায়েজ। মৌলিক কথায় ফিরে আসিঃ বলুন তোঃ ক্রিকেট ফুটবল বা প্রচলিত কোন খেলার মধ্যে উক্ত শর্তগুলির প্রতি লক্ষ করে খেলাধুলা করা হয়? কোন খেলা ইসলামি মুলনীতি অনুযায়ী খেলা হয়? কোন খেলা শরীয়তের দলীলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়? অন্তত ১৫/১৬ টি কারণ রয়েছে যার কারণে খেলার বৈধতার দিক থাকলেও উক্ত ১৫/১৬ টি কারণে তা হারাম হয়ে যাচ্ছে! কারণগুলো লক্ষ করুনঃ (১) অধিকাংশ খেলাধুলা জুয়ার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। জুয়া ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল খেলার কল্পনা করা দুষ্কর! বড় বড় টুর্ণামেন্ট বা ঘরোয়া লীগ বা যাইই বলেন : সকল দলের এন্ট্রি ফি দিতে হয় : আর কাপ জিতলে একটি দল পাবে!! এন্ট্রি ফির টাকা সবাই জমা দেয়, এটি আবার টুর্ণামেন্টের বিভিন্ন কাজে খরচ হয়, যেমন : প্রাইজমানিসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে। সবাই টাকা দিয়ে শরিক হচ্ছে, কিন্তু পুরস্কার পাচ্ছে একটি দল! এটাকে শরীয়তে জুয়া বলে। ইসলামী শরীয়তে যে সমস্ত বিষয় কঠোরভাবে নিষেধ তার অন্যতম একটি বিষয় হলো জুয়া! আল্লাহ কুরআনে বলেনঃ انما الخمر والميسر.....رجس من عمل الشيطا فاجتنبوه. অনুবাদঃ নিশ্চয়ই জুয়া হলো শয়তানের নাপাক নিকৃষ্ট কাজের অন্তর্ভুক্ত। অবশ্যই তোমরা তা পরিহার করো। (২) একজন মুমিনের জীবনে ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো নামাজ। খেলাধুলার কারণে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় যে খেলা চলাকালীন নামাজ পড়া যাবে না, অথবা পড়ার অনুমতি থাকে না। ডে নাইট ম্যাচগুলো শতভাগ নামাজ পড়া হয় না। টেস্ট বা টি টুয়েন্টি অথবা ফুটবল যাই বলুন নামাজ পড়া হয় না ইচ্ছাকৃত! একটি অনর্থক কাজ খেলাধুলার জন্য নামাজ মিস হয়ে যাচ্ছে! আমরা তো এটাও দেখেছি খেলার উদ্বোধনের জন্য ঢাকার মসজিদের আযান বন্ধ রাখা হয়েছিল! আল্লাহ কুরআনে বলেনঃ ان الصلاۃ كانت علي المومنين كتابا موقوتا . অনুবাদঃ নিশ্চয়ই মুমিনের জন্য তার নামাজকে যথাযথ সময়ে আদায় করা ফরজ করা হয়েছে। لا طاعۃ لمخلوق في معصيۃ خالق . পাপ কাজে মাখলুকের আনুগত্য করা যাবে না। তাই খেলার কারণে ম্যানেজমেন্টের কথা মেনে নামাজ বাদ দেয়া বৈধ নয়! (৩) ইসলামের তৃতীয় শ্রেষ্ট রুকন বা স্তম্ভ হলো রোযা রাখা। শতভাগের ৮০% ক্রিকেটার রোজা রাখে না খেলাধুলার কারণে! يا ايها الذين امنوا كتب عليكم الصيام অনুবাদঃ হে ঈমানদারগন! তোমাদের উপর তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত রোজা ফরজ করা হয়েছে। (৪) প্রাপ্ত অর্থের অধিকাংশশ টাকা সুদ/ঘুষ/মদ বিক্রি অবৈধ পন্থার অনুদান থেকে! الذين ياكلون الربي لا يقومون الا كما يقوموا الذی يتخبته الشيطان من المس. যারা সুদ খায় তারা কেয়ামতে এমনভাবে দাড়াবে যেন শয়তান তাকে স্পর্শ করার দ্বারা বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে! (৫) সমস্ত ইবাদাতে অমনোযোগিতা সৃষ্টি হয়! অবসাদ পেয়ে বসে। অবসরে আল্লাহর কথা স্বরণ হয় না। ধ্যান ধারণা হয় খেলাধুলা নিয়ে। দ্বীন বিমুখ হয়ে খেলার প্রতি ঝোক বেড়ে যায়। দ্বীন থেকে দুরে সরে যায়। আখেরাত বিমুখ হয়ে যায়। اذكر اﷲ ذكرا كثيرا অনুবাদঃ সদা আল্লাহর যিকির বেশি বেশি করো! (৬) খেলাধুলা মুসলিমের আবিষ্কার নয়। বরং খৃষ্টীয় কালচার। শরীর চর্চার জন্য উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে খেললেই যথেষ্ঠ ছিল। কিন্তু সেসব বাদ দিয়ে আজ খেলাকে পেশা আর সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণ করেছি আমরা। ইহুদি খৃষ্টানের কালচার আমরা প্রচার প্রসার করছি। خالفوا اليود والنصاري . তোমরা ইহুদি নাসারাদের বিরোধীতা করো, তাদের অনুসরণ কখনোই নয়। (৭) জিন্দেগীর সবচেয়ে মুল্যবান সময় অনর্থক কাজে ব্যয় হয়। যার মধ্যে দ্বীন দুনিয়ার ফায়দা নেই। কোন আমল ঈমান শিখতে পারে না। তার গোটা জীবন খেলাধুলা নিয়ে গবেষণায় কেটে যায়। সর্বদাই খেলাধুলার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে! الذين ضل سعيهم في الحياۃ الدنيا وهم يحسبون انهم يحسنون صنعا . তারাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ: যারা দুনিয়ায় অনর্থক কাজে সময় ব্যায় করতেছে অথচ তারা সবাই ভাবতেছে যে তারা ভালো কাজ করতেছে! (৮) শতভাগ পর্দা লঙ্ঘন হয়। বেপর্দা অশ্লীলতা বেহায়া নর্তকীর নৃত্য ড্যান্স, ওপেন সেক্সুয়াল সিন এগুলা অহরহ!! অর্ধনগ্ন যুবতী নারীর ইন্টারভিউ দিতে হয়! উপস্থাপিকা! سۃر الرجل ما بين السرۃ الي الركبۃ . يا علي ! لا تتبع نظرتك فان لك الاولي . পুরুষের সতর হলো : নাভির থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত! (৯) গজবের টুর্ণামেন্ট শুরু হয় গানবাদ্য দ্বারা। যেটা শয়তানের হাতিয়ার। সঙ্গে উপস্থিত আম জনতাও নেশায় বুঁদ হয়ে যায়। তারাও গোনাহে শামিল হয়ে যায়। আতশবাজি আরো ভয়াবহ কাজ হয় যা গজবের কারণ! ومن اناس من يشتري لهو الحديث ليضل عن سبيل اﷲ بغير علم ويتخذها هزوا . ان اتغني مزمار الشياطين . কিছু মানুষ এমন আছে : যারা গানবাদ্য ক্রয় করে আমদানি করে যেন লোকদের পথভ্রষ্ট করতে পারে অজ্ঞতাবশত এটা! এবং দ্বীনকে তারা তামাশার বস্তু ধর্তব্য করে! গানবাদ্য হলো শয়তানের হাতিয়ার। عَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَيَكُوْنَنَّ فِى هَذِهِ الْاُمّةِ خَسْفٌ وقَذْفٌ وَمَسْخٌ وَذَلِكَ اِذَا شَرِبُوْا الْخُمُوْرَ واتَّخَذُوْا القَيْنَاتِ وَضَرَبُوْا بِالْمَعَازِفِ. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন আমার উম্মত নেশাদার দ্রব্য পান করবে, গায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হবে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত হবে তখন অবশ্যই তিনটি ভয়াবহ বিপদ নেমে আসবে- (১) বিভিন্ন এলাকায় ভূমি ধসে যাবে (২) উপর থেকে অথবা কোন জাতির পক্ষ থেকে যুলুম অত্যাচার চাপিয়ে দেওয়া হবে (৩) অনেকের পাপের দরুণ আকার-আকৃতি বিকৃত করা হবে। আর এ গযবের মূল কারণ তিনটি। (ক) মদ পান করা (খ) নায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হওয়া (গ) বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহী হওয়া। عَنْ أَبِيْ مَالِكِ الأَشْعَرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَيَكُوْنَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّوْنَ الْحِرَ وَالْحَرِيْرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ. বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা ( খেলাধুলা) বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’ (বুখারী) (১০) নিজে ক্রিকেট /ফুটবল খেলার কারণে বংশ পরম্পরায় এই খেলার সূত্র চালু হয়ে যায়। ছেলে থেকে নাতি/তার নিন্ম বংশধর এভাবে ক্রমবিকাশ হতে থাকে নিজের গোনাহের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে অবিরত। من سن في الاسلا سنۃ سيءۃ فعمل بعده كتب عليه مثل وزر من عمل بها ولا ينقص من اوزارهم شيءا. যে ব্যক্তি একটি পাপ কাজের পথ দেখিয়ে যায় : সেটা দেখে যে ব্যক্তি পাপ করে তখন ঐ ব্যক্তির গোনাহ পথদেখানেওয়ালা ব্যক্তির ঘাড়ে যায়। কারোর গোনাহে কমতি হয় না। (১১) পুরো দুনিয়া লাইভ দেখে, তারাও গোনাহে লিপ্ত হয়। বেপর্দার সয়লাবে তারা হারিয়ে যায়। নেশায় মাতাল হয়ে যায়। গানবাদ্য তারা হাতে তালি দেয়!! انساكم كما نسيتم لقاء يمكم هذا. তোমরা দুনিয়াতে আমাকে ভুলেছো আমি আজ কিয়ামতে তোমাকে ভুলে যাব! (১২) সমর্থকদেরর মধ্যে খেলাধুলার সাপোর্ট নিয়ে দাঙ্গামা বাধে। গীবত করে একে অন্যের। বিভেদ মারামারির সূত্রপাত হয়। এমনকি রক্তারক্তি হবার ঘটনা কম নয়। ولا تفسدوا في الارض بعد اصلاحها . ان الله لا يحب المحسنين . যমিনের মধ্যে ফাসাদ ঝগড়া করো না, আল্লাহ ঝগড়া ফাসাদকারীদের পছন্দ করেন না। (১৩) বিধর্মীদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে। তাদের লাইফস্টাইল ফলো করে জনতা। তাদের মত চুল কাটে, পোষাক পরিধান করে। তাদের কারণে সাধারণ পাবলিকের আমল নষ্ট হয়। . من تشبه بقوم فهو منهم যে ব্যক্তি বিধর্মীর সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত। (১৪) নামাজে মন বসে না। স্কোর দেখতে মন ছটফট করে। নামাজ শেষ করেই স্কোর দেখে প্রশান্তি লাভ করে। রাত জেগে খেলাধুলা করার কারণে, খেলাধুলা দেখার কারণে শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়! নামাজ পড়া হয় না! ان الصلاۃ تنهي عن الفحشاء والمنكر নামাজের মত নামাজ হলে তা সমস্ত পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে! (১৫) ইহুদি খৃষ্টানের সঙ্গে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব হয়। খেলাধুলার সুবাদে বিষয়টি অতি স্বাভাবিক। لا تتخذوا اليود والنصاري اولياء ইহুদি খৃষ্টানকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করিও না । (১৬) টুর্ণামেন্ট বা লীগের সুবাদে প্রতিষ্ঠিত জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান নড়েচড়ে বসে। দুনিয়া জুড়ে অনলাইনে জুয়ার ভয়াল থাবায় ডুবে যায়!! নিঃস্ব হয়ে যায়। পুরো শরীয়ত বিঘ্নিত হলো!! واتقوا اﷲ . সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করো! উপরোক্ত যে কারণগুলো বলা হলো : সমস্ত কারণ পর্যবেক্ষণ করে কুরআন সুন্নাহ এবং উলামায়ে কেরামের চুড়ান্ত রায় এটাঃ উক্ত ঈমান বিধ্বংসী দ্বীন বিরোধী কারণগুলি বিবেচনা করে এমন পদ্ধতিতে খেলা সম্পুর্ণ হারাম!! কারণ খেলার দ্বারা দ্বীন ধ্বংসের পথে। ব্যক্তির জিন্দেগী বরবাদ। তাই যেই খেলার দ্বারা দ্বীন বাধাগ্রস্থ হয় শরীয়ত কখনোই তা খেলার অনুমোদন করে না। তা অকাট্য হারাম। আর যে বিষয় অকাট্য হারাম হয় তার থেকে উপার্জন করা কুরআন সুন্নাহর আলোকে এবং উম্মতের ইমামদের মতে তা সম্পুর্ণ হারাম উপার্জন বলে বিবেচিত হবে। কারণ খেলাটাকে শরীয়ত কোন "গ্রহনযোগ্য কাজ" হিসেবে ধর্তব্য করেনি! বরং অনর্থক ফালতু কাজ হিসেবে বিবেচনা করেছে। আর ফালতু অনর্থক কাজ কে নিজের উপার্জনের পেশা বানিয়ে নেয়া এবং ঐ অনর্থক কাজ করার জন্য শরীয়তকে জবাই করাটা কস্মিনকালেও ইসলামী শরীয়ত বৈধতা প্রদান করে না।
বিস্তারিত পড়ুন

সকল প্রসঙ্গ

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group