

প্রবন্ধ
বিড়ি-সিগারেট, মদ ও তামাকজাত দ্রব্য খাওয়া ও ব্যবসায়ের বিধান
৯ মে, ২০২৫
মদ, বিড়ি, সিগারেট, ফেন্সিডিল, ইয়াবাঃ এইগুলা খাওয়া এবং বিক্রি করার বিধান কি এটি আমাদের বিস্তারিত সুন্দরভাবে জানা থাকা দরকার। এ কথা মনে রাখতে হবেঃ কুরআন এবং হাদিসে যে বস্তু নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে সেটা অকাট্যভাবে হারাম, আর যে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা আসে নাই; তবে ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেটা নাজায়েজ। কিছু মূলনীতিকে সামনে রেখে এবং কিছু ইঙ্গিতমুলক আয়াত হাদিসকে সামনে রেখেই মূলত নাজায়েজ বা মাকরুহে তাহরীমি সাব্যস্ত হয়। আরো একটু খুলে বললেঃ কোন কোন হাদিসে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও সনদের দূর্বলতা অথবা হাদিসের মুল মাক্বসাদ, বর্ণনাভঙ্গি দ্বারা নাজায়েজ নির্ণীত হয়। এখানে আরো লম্বা শাস্ত্রীয় আলাপ আছে, যা আহলে ঈলমগন ভালো বুঝবেন। অর্থাৎ অকাট্য হারামের চাইতে এক স্তর নিচে। তবে উভয়ের ক্ষেত্রেই কবিরা গুনাহ হবে। হারাম তথা যেটি অকাট্যভাবে হারাম এবং নাজায়েজ এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ অকাট্যভাবে প্রমাণিত হারাম বিষয়কে অস্বীকার করলে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়, আর নাজায়েজকে অস্বীকার করলে কাফের হয় না। এবার এ কথা বুঝে নিনঃ উপরে যে সমস্ত বস্তুর কথা বলা হয়েছেঃ এর মধ্যে শুধুমাত্র মদ হারাম এবং নিষেধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন এবং হাদিসে অসংখ্য বিধি নিষেধ আরোপ হয়েছে। বিধায় মদ পান করা, মদ বিক্রি করা, মদ সংশ্লিষ্ট যেকোনো কাজ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। কোন প্রকার বৈধতার সুযোগ নাই। পক্ষান্তরে ইয়াবা, ফেনসিডিল, আফিম, সিগারেট এগুলোর ব্যাপারে কুরআন এবং হাদিসে সুস্পষ্ট অকাট্যভাবে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। কারণঃ সিগারেট, ফেন্সিডিল, ইয়াবাঃ এগুলা সবই উৎপত্তি হয়েছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের অনেক পরে। তাই এগুলা কুরআন হাদিসে নিষেধ করার কোন সম্ভাবনা নাই। তবে যেহেতু মদের কিছু কিছু খারাবি এখানে পাওয়া যায়, তাই এগুলোকে সরাসরি হারাম না বলে নাজায়েজ বলা হয়। অর্থাৎ, এগুলোর খারাবি এবং ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় মদের চাইতে খুব একটা কম নয়। যার কারনে ফুক্বাহায়ে কিরাম শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এই বিষয়গুলো খাওয়াকে নাজায়েজ বলেছেন। অর্থাৎ অবশ্যই কবীরা গোনাহ হবে। তবে অকাট্যভাবে হারাম বলেননি, কেননা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় না। তাই এগুলা নাজায়েজ। বাকি কথা রইল যে এই সমস্ত বস্তুগুলো বিক্রি করা যাবে কিনা এবং এগুলোর সেক্টরে কাজ করা যাবে কিনা এবং কেউ কাজ করলে তার বিধান কি হবে। দেখুন! ইসলামি শরীয়াহর একটি মুলনীতি হলোঃ যেই বস্তু মুলগতভাবে হারাম নয়, সত্তাগত হিসেবে হালাল, এবং পাক, এবং তা দ্বারা বৈধভাবে উপকৃত হওয়া সম্ভবঃ এমন জিনিস বিক্রি করা জায়েজ। এমন জিনিস যেখানে বিক্রি করবে, সেখানে কাজের বিনিময়ে টাকা নেয়াও জায়েজ। তবে সেই বস্তু যদি কেউ অনৈতিক অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করে, তাহলে তার সেই অবৈধ পন্থায় ব্যবহার নাজায়েজ। অর্থাৎ শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, যে সকল বস্তুর স্বাভাবিক ব্যবহার বৈধ, তথা যেসমস্ত বস্তুকে হালালভাবে ব্যবহার করা যায়, করার উপায় আছে, সেগুলোর ব্যবসা করাও বৈধ। আর যে সকল বস্তুর ব্যবহারই নিষিদ্ধ, সেগুলোর ব্যবসা করা হারাম, এবং সেখান থেকে অর্জিত আয়ও হারাম হয়। না জেনে উপার্জন করে ফেললে পরবর্তীতে সেই পরিমান টাকা তাকে সদক্বাহ করতে হবে। এবার আসুনঃ মদকে আল্লাহ তাআলা সত্তাগতভাবেই হারাম এবং নাপাক সাব্যস্ত করেছেন। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক হাদিসের মধ্যে মতকে সুস্পষ্টভাবে হারাম বলে ব্যক্ত করেছেন। বিধায় মদ বিক্রি করা মদের কারখানায় চাকরি করা মত বিক্রি করে উপার্জন করা সম্পন্ন হারাম অকাট্য হারাম। কারণ মদের অনেক ক্ষতি রয়েছে। মদের কারণে এমন মাতলামি সৃষ্টি হয় যে; মানুষ তার স্বাভাবিক জ্ঞানে থাকে না, সম্পূর্ণ উদ্ভ্রান্ত হয়ে যায়, অশ্লীলতা বেড়ে যায়। সমস্ত খারাবির কারণে এটিকে স্পষ্ট নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সিগারেট এর তামাক, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজাঃ এগুলোর দ্বারা সত্তাগতভাবে তথা এই বস্তুগুলো দিয়ে উপকৃত হওয়া সম্ভব। এবং এইগুলা অনেক ঔষধের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এইগুলা দ্বারা বৈধভাবে উপকৃত হওয়ার একটি মাধ্যম রয়েছে, যদিও মানুষ অবৈধ ব্যাবহার তথা নেশা করেঃ সুতরাং বৈধ ব্যবহারের দিক থাকার কারণে এই দিকে লক্ষ্য করে এগুলার ব্যবসা করা হারামের চাইতে এক স্তর নিচে নাজায়েজ হবে। এসব ব্যবসা করার সুযোগ নাই। যদি কেউ না জেনে ভুলে করে ফেলে, তাহলে তার উপার্জিত টাকা সে ব্যবহার করতে পারবে, কিন্তু সামনে থেকে এমন কাজে জড়িত হবে না। কারণ এটি জগতের সবচাইতে নিকৃষ্ট উপার্জনের অন্যতম। এমন ব্যক্তিদের রাসুলের শাফায়াত ভাগ্যে জোটা কঠিন। এবং যদি বিক্রেতা জানেন যে ক্রেতা এটি নেশার জন্য ব্যবহার করবে, তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে আফিম /গাজা/ফেন্সিডিল বিক্রি করবে না । অন্য যে নেশাজাত দ্রব্যের ব্যবসা করা হয়, সেগুলো যদি শুধুমাত্র নেশার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে সে ব্যবসাও বৈধ হবে না। কিন্তু যদি সেগুলো ওষুধেও ব্যবহৃত হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে আফিমের মতো একই বিধান প্রযোজ্য হবে। অনেকে বলতে চানঃ হুজুর! এগুলা তো মদের মত, নেশা হয়। যুক্তি দেখিয়ে বলেন যেঃ এগুলা বেশি খেলে নেশা হয়। দেখুনঃ নেশা বা মাতলামি দ্বারা কি উদ্দেশ্য সেটা বুঝতে হবে! মাতলামি মানে হলো ব্যক্তি তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে, সে জাগ্রত থাকার পরেও নিজের কোন প্রকার কন্ট্রোল তার মধ্যে থাকবে না, সম্পূর্ণ উন্মাদের ন্যায় হয়ে যাবে। আফিম, গাজা/ইয়াবা বেশি খেলে মাথা ঘোরায়, কিন্তু মাতাল হয় না। শুধু মাথা ঘুরানোর কারণে এটা মদের মতো হয়ে যাবে না। অনেকেরই প্রশ্নঃ তাহলে হুজুর! হাদিসে যে বলা হয়েছেঃ كل مسكر حرام অর্থাৎ প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য হারাম। সেক্ষেত্রে সিগারেট, ফেন্সিডিল এগুলোও তো নেশাজাতীয় বস্তু, তাহলে এগুলা অকাট্য হারাম নয় কে বলেছে? কেন হারাম নয়! দেখুন! সিগারেট বা ফেন্সিডিল বা গাজা এগুলা কি নেশা সৃষ্টিকারী? মানুষ যখন কোনো উত্তেজকের আবেশে নিজের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তখন তাকে নেশাগ্রস্ত বলা হয়। শুধু মাথা ঘুরালেই মাতাল বলা হয় না। যেমন কোন ব্যক্তি যদি অনেক বেশি পরিমানে মধু খায়, চিনি খায়; নিশ্চিত তার মাথা ঘুরাবে। নিজেকে অনেক সময় কন্ট্রোল করতে পারে না। তাহলে এটাকে কি আপনি মাতলামি বলবেন? নিশ্চয়ই না। তাহলে বোঝা গেলো মূল মাতলামি হয় এমন বস্তু থেকে, যেটা ব্যক্তির সম্পূর্ণ অনুভূতি বিলোপ করতে সক্ষম। আর এটা শুধু মদের মধ্যেই পাওয়া যায়। তাই অকাট্য হারাম নয় এগুলা, তবে নাজায়েজ অবৈধ অবশ্যই। কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বিষয়গুলি আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুন। আমিন। পানের সাথে প্রায় অধিকাংশ মানুষই জর্দা এবং তামাক খান। আর জর্দা সম্পর্কে প্রচলিত আছে এটি নেশা জাতীয় দ্রব্য যা খাওয়া হারাম। আবার কেউ বলে মাকরূহ, কেউ বলে মুবাহ। অনেক এলাকায় মনে করা হয় যে ইমাম পানের সাথে জর্দা খায় তার পিছনে ইকতিদা করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকেন। ফকিহগণের মতে, জর্দা -তামাক খাওয়া হারাম নয় এবং জর্দা খায় এমন ইমামের পিছনে ইকতিদা করাও বৈধ। হাদিসে যে বলা হয়েছেঃ فَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। এটার দ্বারা মাতলামি তথা নিয়ন্ত্রনহীনতা উদ্দেশ্য । কারণ তামাক-জর্দা খেলে মানুষ মাতাল হয় একথাটি সর্বৈব মিথ্যা। এতটুকু বলা যেতে পারে যে, অতিরিক্ত খেলে মাথা ঘুরাবে। বমি আসবে। যদি বেশি খাওয়ায় মাথা ঘুরানো, বমি আসা, বা মাতাল হওয়াকে নিষিদ্ধ ও হারাম হবার মানদণ্ড ধরা হয়, তাহলে বলতে হবে মধু খাওয়া হারাম। কারণ, খাটি মধু আপনি একসাথে এক দেড় কেজি খেয়ে দেখেন মাথা ঘুরবেই। বমি আসবেই। মাতাল হয়ে যাবেন। যতক্ষণ না তা মাদক হিসেবে সাব্যস্ত হয়, তথা এর মাধ্যমে মানুষ মাতাল হয়ে যাওয়া নিশ্চিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটিকে মদের হুকুমে আরোপ করা অযৌক্তিক অসাড় মস্তিস্কের মন্তব্য ছাড়া কিছুই বলার সুযোগ নেই। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ ব্যাপকভাবে শির্কা এবং নাবীজ পান করতেন। যা বেশি পরিমাণ খেলে বা বেশিদিন ভিজিয়ে রাখলে তা মাদকে পরিণত হতো। সুতরাং বুঝা গেল যে, যা মূলত মাদক হিসেবে স্বীকৃত নয়, তা নেশা পরিমাণ পান না করলে তা নিষিদ্ধ নয়। عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا، وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلَّا فِي سِقَاءٍ، فَاشْرَبُوا فِي الْأَسْقِيَةِ كُلِّهَا، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا» বুরায়দা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কবর যিয়ারত করা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম এখন তোমরা যিয়ারত কর। তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করতাম, এখন যত দিন সম্ভব সংরক্ষণ করে খেতে থাক এবং নাবীয (খেজুর ভিজানো পানি) পান করা হতে নিষেধ করতাম। (মশক ব্যতীত অন্যান্য পাত্রে) এখন সকল পাত্রে পান কর। কিন্তু নেশা হয় এমন অবস্থায় নয়। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯৭৭। সুতরাং এব্যাপারে মুল কথা হলোঃ পানের সাথে জর্দা বা তামাক খাওয়া ডাক্তারি মতে অনেকের জন্য শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই যথাসম্ভব এ থেকে বিরত থাকা উচিত। আর কারো ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার জন্য তা খাওয়া নাজায়েয হবে। গুল খাওয়া মাকরুহ, কারণ এর দ্বারা মুখে দুর্গন্ধ হয়। দলীল সমূহঃ (1) يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, উভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর তার মধ্যে মানুষের জন্য উপকারিতাও আছে। তবে এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে বড়।’ (সূরা বাক্বারাহ :২১৯) (2) ﻭاﻟﺨﻤﺮ ﻣﺎ ﺧﺎﻣﺮ اﻟﻌﻘﻞ ‘মাদকদ্রব্য তাই যা জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ করে।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪৬১৯) (3) وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ ‘তোমরা পূণ্য ও তাকওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং গুনাহ ও সীমালঙ্ঘণের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো না।’ (সূরা মায়িদাহ : ২) (5) الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 460): "وفي الأشباه في قاعدة: الأصل الإباحة أو التوقف، ويظهر أثره فيما أشكل حاله كالحيوان المشكل أمره والنبات المجهول سمته اهـ قلت: فيفهم منه حكم النبات الذي شاع في زماننا المسمى بالتتن فتنبه. (قوله: ربما أضر بالبدن) الواقع أنه يختلف باختلاف المستعملين ط (قوله: الأصل الإباحة أو التوقف) المختار الأول عند الجمهور من الحنفية والشافعية كما صرح به المحقق ابن الهمام في تحرير الأصول (قوله: فيفهم منه حكم النبات) وهو الإباحة على المختار أو التوقف. وفيه إشارة إلى عدم تسليم إسكاره وتفتيره وإضراره، وإلا لم يصح إدخاله تحت القاعدة المذكورة ولذا أمر بالتنبه". فقط والله أعلم (6) কিফায়াতুল মুফতির মধ্যে আছেঃ ’’(سوال) میں نے ایک دکان فی الحال کھولی ہے جس میں متفرق اشیاء ہیں، ارادہ ہے کہ سگریٹ اور پینے کا تمباکو بھی رکھ لوں یہ ناجائز تو نہیں ہوگا ؟ ( جواب ۱۶۳) سگریٹ اور تمباکو کی تجارت جائز ہے او ر اس کا نفع استعمال میں لانا حلال ہے ۔محمد کفایت اللہ کان اللہ لہ‘‘۔ (ص:9 ج:148) فتاوی دارالعلوم دیوبند میں ہے: " سوال (۱۸۳) تمباکو،سگریٹ ،بیڑی فروخت جائز ہے یا ناجائز ؟ جواب :درست ہے ، لیکن مکروہ ہے۔"(ج:14، ص:364) (7) وبالجملة إن ثبت في هذا الدخان إضرار صرف خال عن المنافع فيجوز الإفتاء بتحريمه وإن لم يثبت انتفاعه فالأصل حله مع أن في الإفتاء بحله دفع الحرج عن المسلمين فإن أكثرهم مبتلون بتناوله مع أن تحليله أيسر من تحريمه وما خير رسول الله - صلى الله عليه وسلم - بين أمرين إلا اختار أيسرهما.(العقود الدرية في تنقيح الفتاوى الحامدية،ج:2،ص:332) ( وَمَآاٰتٰکُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْہُ وَمَا نَھٰکُمْ عَنْہُ فَانْتَہُوْا وَاتَّقُوا اللہَ اِنَّ اللہَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ‘‘ (الحشر:۷) (9) قُلْ اِنْ کُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوْنِیْ یُحْبِبْکُمُ اللّٰہُ وَیَغْفِرْلَکُمْ ذُنُوْبَکُمْ وَاللّٰہُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ‘‘ (آل عمران : ۳۱ ) (10) إنَّ الحلالَ بيِّنٌ وإنَّ الحرامَ بيِّنٌ وبينهما أمورٌ مُشتبِهاتٌ لا يعلمهنَّ كثيرٌ من الناس فمنِ اتَّقى الشُّبُهاتِ استبرأ لدِينِه وعِرضِه ، ومن وقع في الشُّبهاتِ وقع في الحرامِ ، كالراعي يرعى حول الحِمى يوشكُ أن يرتعَ فيه ، ألا وإنَّ لكلِّ ملكٍ حمًى ، ألا وإنَّ حمى اللهِ محارمُه ، ألا وإنَّ في الجسدِ مُضغةً إذا صلُحتْ صلُح الجسدُ كلُّه وإذا فسدتْ فسد الجسدُ كلُّه ألا وهي القلبُ ( صحيح المسلم: ١٥٩٩)
বিস্তারিত পড়ুনসাম্প্রতিক প্রবন্ধ
Hm Sulayman - ১৫ মে, ২০২৫
Hm Sulayman - ১১ মে, ২০২৫
Hm Sulayman - ১১ মে, ২০২৫
Hm Sulayman - ১১ মে, ২০২৫
Hm Sulayman - ৯ মে, ২০২৫
সকল প্রসঙ্গ
২৭তম রজনী
অনলাইন কোর্স
অলিম্পিক
আংটি
আধুনিক মাসআলা
আধুনিক মাসাআলা
উম্মুল মু'মিনিন
ওকালতি
কাফফারা
কাযা
কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস
ক্রিকেট
ক্রিপ্টোকারেন্সি
ক্র্যাকড
খেলাধুলা
খেলাধুলা হতে উপার্জন
জর্দা
ডাক্তারি বিদ্যা
ডিফেন্স ফোর্স
তামাক
তারাবীহ
তালাক
দোআ
দোয়া
নবীজি
নবুয়তের সিলমোহর
নেশা
নৌবাহিনী
পাইরেটেড
পার্লামেন্ট সদস্য
পুলিশ
পেইড কোর্স
ফিদিয়া
ফুটবল
বিচারপতি
বিটকয়েন
বিড়ি
বিডিআর
ব্যবসায়
ব্যাডমিন্টন
ব্যারিস্টার
মদ
মাকরুহ
মুনাজাত
মেডিকেল
যাকাত
যাকাত-ফিতরা
রাস্তায় পাওয়া জিনিস
রোজা
রোজা ভঙ্গের কারণ
রোজার মাসআলা
রোজার মাসাআলা
রোযা ভঙ্গের কারণ
র্যাব
লাইলাতুল ক্বদর
লাইলাতুল বারাআত
শবে ক্বদর
শবে বরাত
শিক্ষক
সফটওয়্যার
সংবিধান
সরকারি চাকরি
সহশিক্ষা
সামরিক বাহিনী
সিগারেট
সেনাবাহিনী
স্ত্রী
© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত