রোযা রেখে কেউ ইচ্ছাকৃত পানাহার অথবা সহবাসের মাধ্যমে রোযা ভেঙ্গে ফেললে তাকে রোযার কাযা+কাফফারা দুটিই করতে হয়।
কাফফারা হলো একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই। তবে একই রমযানে একাধিক রোজা ভেঙ্গে ফেললে কাফফারা শুধুমাত্র একটিই হবে, আর প্রত্যেকটির জন্য কাযা আবশ্যক হবে। এর সামর্থ্য না থাকলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খানা খাওয়াবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ গম, আটা, চাল ইত্যাদি অথবা সমপরিমাণ নগদ (বর্তমান সদক্বাতুল ফিতরঃ ৯০/১০০ টাকা) টাকা দিবে। একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দু বেলা খাওয়ালে ও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে শুধু একজনকে ৬০ দিনেরটা একদিনেই দিয়ে দিলে কাফফারা আদায় হবে না বরং তাতে মাত্র একদিনের কাফফারা আদায় হবে। হয়ত ১ জন মিসকিনকে ৬০ দিন খাওয়াতে হবে বা দিতে হবে, নতুবা ১ দিনে ৬০ মিসকিনকে দিতে হবে বা খাওয়াতে হবে।
আর কেউ রমজান মাস পেয়েও শরিয়তসম্মত কারণে রমজানের রোজা রাখতে সক্ষম না হলে তার জন্য রোজা না রাখার সুযোগ আছে। যেমন অতিশয় বৃদ্ধ অথবা এমন অসুস্থ যার আরোগ্য হওয়ার আশা করা যায় না, তার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক নয়। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি প্রতিদিনের রোজার পরিবর্তে ‘ফিদিয়া’ প্রদান করবেন। প্রতিটা রোযার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতর পরিমান পণ্য বা তার মূল্য যাকাত খেতে পারে এমন গরীব-মিসকীনকে দান করাই হল এক রোযার ফিদিয়া।
ফিদিয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো তারতম্য নেই। তবে দারিদ্র্যের দরুন ফিদিয়া দিতে একেবারেই অক্ষম হলে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। পরে কখনো সামর্থ্যবান হলে অবশ্যই ফিদিয়া আদায় করে দেবে।