Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহঃ যেসমস্ত কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না

Hm Sulayman

২ মার্চ, ২০২৫

Share Copy Link

যেসমস্ত কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ

  1. রোযা অবস্থায় ভুলে কোন কিছু পান করলে বা খেয়ে ফেললে। যতবেশি পরিমানে হোক।

  2. ভুলে স্ত্রী সহবাস করলে।

  3. রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে

  4. রোযা অবস্থায় চুল,দাড়ি,নখ ইত্যাদি কাটলে।

  5. মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না

  6. অনিচ্ছাকৃত বমি হলে, এমনকি মুখ ভরে হলেও রোজা ভাঙবে না

  7. তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না

  8. দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে পেটের মধ্যে না গেলে রোজা ভাঙবে না

  9. অতিরিক্ত গরম বা পিপাসার কারণে যদি গোসলের মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা করে তাহলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না

  10. কুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুতুর সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না

  11. রোজা অবস্থায় আতর বা ফুলের ঘ্রাণ নিলেও কোনো সমস্যা নেই।

  12. নিজের থুথু গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হবে না।

  13. শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না, বরং তা বৈধ।

  14. অনিচ্ছাকৃত মুখের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না

  15. রোজা রেখে রোজার দিনে চোখে ওষুধ-সুরমা ইত্যাদি লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

  16. রাতে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওজর ছাড়া (বিশেষত রোজা অবস্থায়) দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত। এটি মাকরুহ।

  17. কামভাবের সঙ্গে কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কুদৃষ্টি দেয়া তো গোনাহ, যা রোজা অবস্থায় আরও ভয়াবহ। এতে ওই ব্যক্তি রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে মাহরুম হয়ে যায়।

  18. রোজার দিনে রোজা অবস্থায় স্বপ্নে পানাহার করলে বা কারো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে না। তদ্রুপ শরীরের কোন জায়গা থেকে কেটে গেলে, ফোড়া থেকে রক্ত/পূজ বের হলে বা প্রসাবের সঙ্গে রক্ত বের হলে বা যে কোন তরল পদার্থ বের হলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

  19. কোনো খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোট ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে ও গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।

  20. যদি রোজাদারের গোসল করার সময় অথবা বৃষ্টিতে ভেজার সময় কানের মধ্যে অনিচ্ছায় পানি চলে যায়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা নষ্ট হবে না।

উপরোক্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না, মাকরুহও হবে না।

Share Copy Link

মন্তব্য

সকল প্রসঙ্গ

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group