Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

বিটকয়েনের শরয়ী পর্যালোচনাঃ দ্বিতীয় পর্ব

Hm Sulayman

১৬ এপ্রিল, ২০২৫

Share Copy Link

বিটকয়েন মুলত কি, ক্রিপ্টোকারেন্সি কাকে বলে - এসবের বাস্তবতা নিয়ে বিটকয়েনের শরয়ী পর্যালোচনাঃ প্রথম পর্বে কমবেশি লেখা হয়েছে। এখন আমরা বিটকয়েন/ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের শরয়ী বিধান নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন এটি আদতে বৈধ নাকি অবৈধ এটি নির্ভর করবে বিটকয়েনের সত্ত্বার উপর বিবেচনা করে। এটি মুলত কি? এটি কি কোন মুদ্রা? এটি কি বিনিময়যোগ্য? ইত্যাদি বিষয় সামনে আসবে। দেখুন, এই বিটকয়েন লেনদেন বৈধ হতে হলে সবার পূর্বে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে, যাচাই করতে হবে। বিটকয়েনের ব্যাপারে যাচাই করার মত বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে এসেছে। তারমধ্যে মৌলিকভাবে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

  1. বিটকয়েন প্রকাশকের অজ্ঞতা। এটির প্রকাশক কে বা কারা, নিয়ন্ত্রন করা করে জানা যায় না।

  2. এর ভবিষ্যত বিষয়ে অজ্ঞতা। এটির স্থায়িত্ব বা গ্যারান্টি নিয়ে সংশয় রয়েছে।

  3. এর প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রকাশক নেই। কেন্দ্রিয়ভাবে এর দ্বায়ভার বা যিম্মাদারও নেই।

  4. রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ নেই। এর কোন সেন্ট্রালাইজড কন্ট্রোল নাই।

  5. এতে ব্যাপকভাবে স্প্যাকুলেশন হয়। এর মূল্য স্থীর থাকে না। রাতারাতি দামে আপডাউন হয়।

  6. আইন বহির্ভূত কাজে অধিক ব্যবহার হওয়া।

  7. উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি শরীয়তের দৃষ্টিতে মালে মুতাকাওয়্যিম তথা মূল্যমান বিশিষ্ট হবে কিনা তা পর্যালোচনার দাবি রাখে।

উপরের প্রত্যেকটি বিষয়ই বিটকয়েন জায়েজ-নাজায়েজ হওয়ার ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা উপরোল্লেখিত বিষয়ের দ্বারাই কোন বস্তু লেনদেনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে অথবা হারিয়ে ফেলে। কোন বস্তু লেনদেনের যোগ্যতা অর্জন শরীয়ত সম্মত পন্থায় বিনিময় করতে গেলে তাকে মুল্যমান সমৃদ্ধ বস্তু হতে হবে। কিন্তু উক্ত বিষয়গুলো বিটকয়েনের মধ্যে পাওয়ার কারণে বিটকয়েন তার শরয়ী বিনিময় যোগ্যতা বা মুল্যমান হারিয়ে ফেলেছে।

বিটকয়েন আসলে পারিভাষিক দৃষ্টিকোন তথা বাস্তবতার বিবেচনায় কোন স্বীকৃত মুদ্রা নয়। যদিও এর দ্বারা চলমান বিশ্বে লেনদেনের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মুদ্রা হতে হলে বেশকিছু বিষয়ের প্রতি ফোকাস রাখা আবশ্যক। এব্যাপারে আইএফএ কনসালটেন্সি এর মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম হাফিজাহুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ মুদ্রার পরিচয় দিতে যেয়ে বলেনঃ

অর্থনীতিবিদ ও ফকীহদের দৃষ্টিতে মুদ্রার চারটি বৈশিষ্ট্য ও অর্থনৈতিক কাজ (Economic Activities) রয়েছে। যথা-

  1. Medium of Exchange: এর সারকথা হল, যে জিনসটি মুদ্রা হবে তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে-যেকোন কিছু ক্রয়-বিক্রয়ে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে তা কাজ করবে।

  2. Widely Acceptable: এর সারকথা হল, যে জিনিষটি মুদ্রা হবে সেটার জন্য জরুরী হল-তা ব্যাপকভাবে কোনও প্রকার দলীল-প্রমাণ ছাড়া গ্রহণযোগ্য হওয়া। এর বিপরীতে কাংখিত বস্তু দিতে প্রস্তুত হওয়া। এর জন্য একটি অন্যতম শর্ত হল, দেশীয় আইনে তা অস্বীকার না করা।

  3. Standard of Value/Measure of Value: এর সারকথা হল, কাপড়ে দীর্ঘতা মিটার বা গজে মাপা হয়। চাউল-গমের পরিমাণ ওযনের মাধ্যমে জানা যায়। তেমনি এসব বস্তুর ভেল্যু পরিমাপ করার মাধ্যম হল মুদ্রা। অর্থাৎ যে জিনিষটি মুদ্রা হবে তার মধ্যে এই গুণ থাকতে হবে যে, এর মাধ্যমে বস্তুসমূহের ভ্যল্যু সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হবে। যেমন, বলা হয় ঘড়িটির মূল্য দুইশত টাকা। বইটির মূল্য তিনশত টাকা।

  4. Store of Value: এর সারকথা হল, মানুষ সম্পদ সঞ্চয় করে। ভবিষ্যতে তা কাজে আসে। সম্পদ সঞ্চয়ের জন্য এমন কিছু দরকার, যার মূল্যমান সাধারণত হ্রাস হবে না। নষ্ট হবে না। এর দ্বারা নিজ সম্পদের ভ্যাল্যু সংরক্ষণ করা যাবে। এটি করার মাধ্যম হল-মুদ্রা। এক লক্ষ টাকা আপনার কাছে থাকার অর্থই হল, এ পরিমাণ সম্পদের ভ্যাল্যু আপনার কাছে আছে। অর্থাৎ যে জিনিষটি মুদ্রা হবে তার মধ্যে এই গুণ থাকতে হবে যে, এর মাধ্যমে বস্তুসমূহের ভ্যাল্যু সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। সারকথা, এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কোন কিছুকে মুদ্রা বলতে হলে আগে দেখতে হবে তার মধ্যে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আছে কি না। কোন একটা বৈশিষ্ট্য না থাকলে সেটা মুদ্রা হবে না। আলোচিত বিটকয়েনে-অন্তত আমাদের দেশে-দ্বিতীয় গুণটি নেই। কারণ এটি ব্যাপকভাবে গৃহিত নয়। সরকারীভাবেও অনুমোদিত নয়। সুতরাং একে আমাদের দেশে শরঈ ও অর্থনীতি কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই কারেন্সি বা মুদ্রা বলা যায় না।

বিশেষত সরকারীভাবে এর লেনদেন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। শরীয়তের মাসয়ালা হল, বৈধ বিষয়ে রাষ্ট্রের আনুগত্য করা ওয়াজিব। এর জন্য রাষ্ট্র ইসলামী হওয়া জরুরী নয়।

আরো সংক্ষেপে বললে, বিটকয়েন শরঈভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার মৌলিক কারণ তিনটি। যথা-

  1. গারার তথা ধোঁকা (Uncertainty), জাহালাহ (অজ্ঞতা) ও গ্যামব্লিং। মূলত বিটকয়েনের প্রকাশকের অজ্ঞতা, এর ভবিষ্যত বিষয়ে অজ্ঞতা, এটি সেন্ট্রালাইজড না হওয়া, তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ না হওয়া থেকেই এসব গারার ও জাহালাহ-এর সৃষ্টি।

  2. নিষিদ্ধ কাজের মাধ্যম হওয়া।

  3. এসব বৈশিষ্ট্যসমূহের কারণে শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি মূল্যমান বিশিষ্ট সম্পদ না হওয়া।

উপরোক্ত বিষয় থেকে বেশকিছু বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়। বিশেষত মুদ্রার যেই বৈশিষ্ট সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই মুদ্রার কোন গ্যারান্টার নাই। এই মুদ্রার দাম আপ-ডাউনের ক্ষেত্রে সীমাতিরিক্ত। স্থিতিশীল নয়। মুদ্রার যেই শরয়ী পরিচয় তার তেমন কিছুই নেই এরমধ্যে। শরীয়তে কোন পণ্যের বিনিময় মুল্য হিসেবে স্বর্ণ এবং রুপাকে মুল মুদ্রা হিসেবে ধর্তব্য করা হয়েছে।

তাই ইসলামে মুদ্রা ব্যবস্থা বলতে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রাকে বুঝানো হয়ে থাকে। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে নিয়ে সব খলিফা ও সুলতানদের আমলে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন ছিলো সর্বসাকুল্যে। কাগজের মুদ্রা ব্যবস্থা আসার আগ পর্যন্ত স্বর্ণের বা রূপার কয়েন ছিলো সকল মুসলিমের মুদ্রা। কাগজের মুদ্রার প্রচলন হওয়ার পর থেকে সেটা আর থাকেনি। কাগজের মুদ্রা গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পেছনে যে কারণটি ছিলো সেটি হলো, গ্রাহকের হাতে থাকে কাগজের মুদ্রাটি কেবল মূল স্বর্ণ বা রৌপ মুদ্রার এভিডেন্স।

এর অর্থ হলো গ্রাহকের হাতে থাকা কাগজের মুদ্রার বিপরীতে জাতীয় ব্যাংকে স্বর্ণ বা রৌপ্য গচ্ছিত রয়েছে। তার প্রমাণ হিসাবে গ্রাহক কেবল কাগজকের এই নোটগুলো বহন করছে। এ জন্যই কাগজের নোটের মধ্যে লেখা থাকে "চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে।" সেই সাথে মূল মুদ্রা দ্বারা যেসব কাজ করা যেতো এই কাগজের মুদ্রা দ্বারা সে সব কাজ কারার এখতিয়ার জাতীয় ব্যাংক দিয়ে রেখেছে। চোর ডাকাত ছিনতাইকারীর হাত থেকে নিজের অর্থগুলোকে রক্ষা করার একটি কার্যকরী উপায় হয়ে ওঠে কাগজের মুদ্রা। তাই সকলে এটি গ্রহণ করে নেয়।

বিপরীতে বিটকয়েনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা, নিশ্চয়তা এসবের কিছুই নাই। বরং এটি শুধুমাত্র স্ক্রিনে প্রদর্শিত একটি সংখ্যা মাত্র। এটি মুলত অস্তিত্বহীন। শরীয়তে এজাতীয় জিনিস লেনদেনের মাধ্যম হতে পারে না। যেমন ফতোয়ায়ে আলমগিরির মধ্যে এসেছেঃ

"أن يكون موجودا فلا ينعقد بيع المعدوم وما له خطر العدم كبيع نتاج النتاج والحمل كذا في البدائع."(ص:٢،ج:٣،کتاب البیوع، الباب الأول،ط:دار الفكر،بيروت)

"যেটি ক্রয় বিক্রয় করা হবে, সেটি অস্তিত্বে থাকা, বিদ্যমান থাকা। (অর্থাৎ যে বস্তু অস্তিত্বে আছে তা-ই বিক্রয়যোগ্য।) সুতরাং অস্তিত্বহীন বস্তু বা যা অনুপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন: প্রাণীর গর্ভস্থ সন্তান বা অনাগত ফল, এসব বিক্রয় বৈধ নয়।" (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: পৃষ্ঠা: ২, খণ্ড: ৩, কিতাবুল বয়ূ, প্রথম অধ্যায়, প্রকাশক: দারুল ফিকর, বৈরুত)

এজাতীয় জিনিস ক্রয় বিক্রয়ের বস্তু হতে পারে না। তাছাড়া এটি হস্তান্তরযোগ্য নয়। অথচ ক্রয় বিক্রয়ের অন্যতম শর্তই হচ্ছে যে বস্তু হস্তান্তরযোগ্য হতে হবে। যেমন বাদাইয়ুস সানাই কিতাবের মধ্যে আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

"(ومنها) أن يكون مقدور التسليم عند العقد، فإن كان معجوز التسليم عنده لا ينعقد، وإن كان مملوكا له." (بدائع الصنائع: ص:١٤٧،ج:٥،کتاب البیوع،فصل فی الشرط الذی يرجع إلي المعقود عليه،ط:دار الكتب العلمية)

"ক্রয় বিক্রয় চুক্তি সহীহ হওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো, চুক্তির সময় সম্পত্তি হস্তান্তরযোগ্য থাকতে হবে। যদি চুক্তির সময় সম্পত্তি হস্তান্তরের সামর্থ্য না থাকে, তবে সেই চুক্তি বাতিল হবে, যদিও তা চুক্তিকারীর মালিকানায় থাকে।" (বাদাইয়ুস সানাই: পৃষ্ঠা: ১৪৭, খণ্ড: ৫, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ)

আল্লামা ইবনুল হুমাম রাহিমাহুল্লাহ ফাতহুল কাদিরের মধ্যে বলেছেনঃ

"قال (ولا بيع الطير في الهواء) لأنه غير مملوك قبل الأخذ، وكذا لو أرسله من يده لأنه غير ‌مقدور ‌التسليم. (قوله ولا بيع الطير في الهواء؛ لأنه قبل أخذه غير مملوك، وبعد أخذه وإرساله غير ‌مقدور ‌التسليم) عقيب العقد، ثم لو قدر على التسليم بعد ذلك لا يعود إلى الجواز عند مشايخ بلخ، وعلى قول الكرخي يعود، وكذا عن الطحاوي (ص:٤١٠،ج:٦،کتاب البیوع،باب البیع الفاسد،ط:دار الفکر،بیروت)

"বাতাসে থাকা পাখি বিক্রয় করা যাবে না, কারণ এটি ধরা পড়ার আগে মালিকানাধীন নয়, আর ধরার পর হাত থেকে ছেড়ে দিলে সেটি হস্তান্তরযোগ্য থাকে না। যদি পরবর্তীতে হস্তান্তর সক্ষম হয়, তবু বালখের (একটি এলাকার নাম) মাশায়েখদের মতে এটির বৈধতা ফিরে আসবে না, যদিও ইমাম কারখী ও ইমাম ত্বহাভি রাহিমাহুমাল্লাহ এর মতে ফিরে আসবে। (পৃষ্ঠা: ৪১০, খণ্ড: ৬, দারুল ফিকর, বৈরুত)

আল্লামা ইবনু নুজাইম রাহিমাহুল্লাহও একই কথা বলেছেনঃ

"(قوله والطير في الهواء) أي لا يجوز لأنه غير مملوك قبل الأخذ فيكون باطلا، وكذا لو باعه بعد ما أرسله من يده لأنه غير ‌مقدور ‌التسليم فيكون فاسدا، ولو أسلمه بعده لا يعود إلى الجواز عند مشايخ بلخ، وعلى قول الكرخي يعود، وكذا عن الطحاويأطلقه فشمل ما إذا جعل الطير مبيعا أو ‌ثمنا."(ص:٨٠،ج:٦،کتاب البيوع،باب البيع الفاسد،ط:دار الکتاب الإسلامي)

( আল বাহরুর রায়িক: ৮০/৬, দারুল কুততুবুল ইলমিয়্যাহ)

উপরের দুই রেফারেন্স দ্বারা বোঝা গেলো যে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং অস্তিত্বহীন জিনিস ক্রয় বিক্রয় বৈধ নয়। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে : এই মুদ্রার দাম আপ-ডাউনের ক্ষেত্রে সীমাতিরিক্ত। স্থিতিশীল নয়। এর ফলে গ্রাহক সর্বচ্চো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। মিনিটে মিনিটে এর দাম আপডাউন হতে পারে। আর এর দ্বারা গ্রাহকের ক্ষতি সুনিশ্চিত। আর শরীয়তে এমন কোন লেনদেনের রাস্তা রাখেনি, যার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তৃতীয় বিষয় হচ্ছেঃ বিটকয়েন কোনভাবেই মুদ্রা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। কারণ টাকা নিজেই বিনিয়োগের জায়গা হয় না, বরং টাকা দিয়েই কোন বস্তুর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। পক্ষান্তরে আপনি যদি বিটকয়েনকে মুদ্রা বা টাকা বলে গন্য করেন: বিটকয়েন সেক্ষেত্রে বিনিয়োগের জায়গা, সেখানে ইনভেস্ট করা যাচ্ছে, যেটা তাকে মুদ্রা হওয়া থেকে বের করে দেয়। তাছাড়া এর মধ্যে জুয়া বা ধোঁকার মত রয়েছে। কারণ এটি কাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে বা এর ভ্যালিডিটি কি তার কোন নির্ভরযোগ্যতা নাই। সর্বপোরি এসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলে বোঝা যায় যেঃ বিটকয়েনের লেনদেন শরয়ীভাবে বিধিবদ্ধ নয়, জায়েজ নয়।

Share Copy Link

মন্তব্য

সকল প্রসঙ্গ

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group