Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

রোযার আধুনিক কিছু মাসআলা

Hm Sulayman

৪ মার্চ, ২০২৫

Share Copy Link

রোযার আধুনিক কিছু মাসআলাঃ

  1. রোযা রাখা অবস্থায় রক্ত দেয়ার দ্বারা রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তবে এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার দ্বারা রোযাদার খুব দুর্বল হয়ে যায়।

  2. আমরা অনেক সময় ভুল ধারণা করি যে: রোযা রেখে স্যালাইন নিলে বোধহয় রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। ইনজেকশন,ভ্যাকসিন,ইনস্যুলিন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না, অবশ্য গ্লুকোজজাতীয় ইনজেকশন অর্থাৎ যেসব স্যালাইন ও ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয়, রোজা অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থতা ছাড়া নেওয়া নাজায়েজ।

  3. সালবিউটামল ও ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। ওষুধটি যদিও স্প্রে করার সময় গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব মুখের অভ্যন্তরে স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

  4. কারো যদি শ্বাসকষ্ট এমন মারাত্মক আকার ধারণ করে যে ইনহেলার নেওয়া ছাড়া ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করা দায় হয়ে পড়ে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ রয়েছে যে তারা প্রয়োজনভেদে ইনহেলার ব্যবহার করবে ও পরবর্তী সময় রোজা কাজা করে নেবে। আর কাজা করা সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে। আর যদি ইনহেলারের বিকল্প কোনো ইনজেকশন থাকে, তাহলে তখন ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করবে। কেননা রোজা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে না।

  5. রোজা অবস্থায় ওষুধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না।

  6. চোখে ড্রপ, ওষুধ, সুরমা, মলম ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। অনুরুপভাবে কানে ড্রপ নিলেও রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে নাকে ড্রপ নিলে তা সরাসরি পাকস্থালীতে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, যদি নাকে ড্রপ নিলে গলায় স্বাদ অনুভুত হয় তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

Share Copy Link

মন্তব্য

সকল প্রসঙ্গ

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group