আমাদের দেশে তারাবীহ নামাজের প্রতি চার রাকাত পর পর জোরে জোরে একটি দোআ পড়া হয়। "সুবহানা যিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি....! এটিকে তারাবীহ নামাজের দোআ বলা হয়ে থাকে। ইমাম সাহেব না পড়লে তার উপর রাগ করা হয়। এটিকে মাসনুন দোআর মতই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়া হয়।
বাস্তব কথা হলো: উক্ত দোআটি হাদিসে পাওয়া যায় না। হাদিসের কোন প্রমাণিত দোআ নয় এটি। বরং ফুক্বাহায়ে কেরাম বিভিন্ন হাদিসের টুকরা টুকরা কিছু শব্দ/তাসবীহকে একত্রিত করে একটি দোআর রুপ দিয়েছেন। এটি অর্থবোধক এবং সুন্দর। এবং এটি পড়ার ও অবকাশ আছে। তবে এটিকে মাসনুন কোন হাদীসের দোআ মনে করা যাবে না, এবং আবশ্যপাঠ্য মনে করা যাবে না। বরং প্রতি চার রাকাত পরপর বিভিন্ন মাসনুন দোআ এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করা উচিত।
ফতোয়ায়ে শামিঃ
"(يَجْلِسُ) نَدْبًا (بَيْنَ كُلِّ أَرْبَعَةٍ بِقَدْرِهَا وَكَذَا بَيْنَ الْخَامِسَةِ وَالْوِتْرِ) وَيُخَيَّرُونَ بَيْنَ تَسْبِيحٍ وَقِرَاءَةٍ وَسُكُوتٍ وَصَلَاةٍ فُرَادَى، نَعَمْ تُكْرَهُ صَلَاةُ رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ".
"(قَوْلُهُ: بَيْنَ تَسْبِيحٍ) قَالَ الْقُهُسْتَانِيُّ: فَيُقَالُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: «سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ»، كَمَا فِي مَنْهَجِ الْعِبَادِ. اهـ". (شامي، كتاب الصلاة، باب الوتر و النوافل، مبحث صلاة التراويح، ٢/ ٤٦)