Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সত্যিই ৬ জন স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন!

Hm Sulayman

১১ মে, ২০২৫

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সত্যিই ৬ জন স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন! আসুন বিষয়টি নিয়ে আমরা একটু আলোচনা করি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বীকৃত স্ত্রীদের মধ্য হতে শুধুমাত্র আম্মাজান হাফসা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে তালাক্ব দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামকে প্রেরণ করেন যেন নবীজি আম্মাজান হাফসা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে ফিরিয়ে নেন। ওহীর বার্তা শুনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আম্মাজানকে ফিরিয়ে নেন। (১) নবীজির স্বীকৃত স্ত্রীর মোট সংখ্যা ১১ জন। (২) উনি ছাড়া নবীজি উম্মাহাতুল মু'মিনিন তথা স্বীকৃত স্ত্রীদের মধ্য হতে আর অন্য কোন স্ত্রীকে তালাক দেননি। তাছাড়া হযরত হাফসা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে তালাক দিয়েছেন বিশেষ কারণে। এমনি এমনিই তালাক দেননি। বিশেষ কারণ ছিলো। তালাক জিনিসটি অত্যন্ত ঘৃণীত। খোদ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যেঃ أَبْغَضُ الْحَلَالِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلَاقُ ".অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নিকট জায়েজ বা হালাল কাজের মধ্য হতে সবচাইতে নিকৃষ্টতম হালাল কাজ হচ্ছে তালাক দেয়া। (৩) তাই নবীজির তালাক দেয়া আর আমাদের তালাক দেয়ার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। বাকি নবীজির জন্য অনেক মহিলা নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, কোন কোন মহিলার ব্যাপারে নবীজি নিজেও বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, এবং বিবাহ সংঘটিতও হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে মিলিত হননি এবং বিশেষ কারণবশত তাদেরকে তালাক প্রদান করে তাদের মোহর আদায় করে বিদায় দিয়েছেন। এই প্রকার মহিলাদের সংখ্যার বর্ণনার ব্যাপারে একাধিক বর্ণনা এসেছে। সব বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন আসমা বিনতে নোমান, ফাতেমা বিনতে যাহহাক, উমায়্যা বিনতে শারাহিল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুন্না প্রমুখ মহিলাগন প্রসিদ্ধ। (৪) এরকম মহিলার বর্ণনা কোন কোন বর্ণনায় ৩০ জন মহিলার কথাও এসেছে! অবশ্য ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ উক্ত সংখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছেন আল্লামা দিময়াতি রাহিমাহুল্লাহ এর উদ্ধৃতি বর্ণনা করে। তবে ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ এমন তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সংখ্যা বর্ণনা করে বলেছেন যেঃ প্রসিদ্ধ এরকম ৪ জন অথবা ৫ জন মহিলার কথা জানা যায়, যাদেরকে রাসুল বিবাহ করেছেন এবং তাদের সঙ্গে মিলিত হওয়া ব্যতিরেকেই তাদেরকে তালাক দিয়েছেন। (৫) আল্লামা ইবনে আবদুল বার রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ যেসমস্ত মহিলাকে নবীজি বিবাহ করেছেন অথচ মিলিত হননি, অথবা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, এসবের সংখ্যার ব্যাপারে প্রচুর মতপার্থক্য আছে। অনুরুপভাবে তাদের তালাক দেয়ার কারণের ব্যাপারেও প্রচুর পরিমান ইখতিলাফ আছে। সুতরাং উক্ত নারীদের কারোর ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। (৬) ইমাম যাহাবি রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ এই যেসমস্ত কথা আমি উক্ত নারীদের ব্যাপারে বর্ণনা করলাম, তা শুধুমাত্র আমি আমার বিস্ময় প্রকাশের জন্য করেছি, সংখ্যাগুলো সঠিক প্রমাণের জন্য নয়। ( অর্থাৎ এমন নারীদের ব্যাপারে এত অধিক বর্ণনা আছে, যে আমি বিস্ময় প্রকাশের জন্য সংখ্যাগুলো বর্ণনা করেছি।) (৭) ইমাম সালেহি রাহিমাহুল্লাহ তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ" এর মধ্যে এই ইখতিলাফ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। (৮) উল্লেখ্য যেঃ এই সমস্ত মহিলাগন উম্মুল মুমিনিনের অন্তর্ভুক্ত তথা স্বীকৃত স্ত্রীর অন্তর্ভুক্ত নন। উম্মুল মু'মিনিন বলা হয় যাদের সঙ্গে বিবাহ সংঘটিত হয়েছে, এবং তাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন; যদিও কাউকে তালাক দিয়ে থাকেন। ইমাম মাওয়ারদি রাহিমাহুল্লাহ এবং আল্লামা কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ এটাই বলেছেন। (৯) এখন মুল আলোচনায় আসিঃ নবীজি নিজের স্বীকৃত স্ত্রীদের মধ্য থেকে শুধু হযরত হাফসা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে তালাক দিয়েছেন। সেটাও নবীজি একটি শরয়ী কারণে তালাক দিয়েছেন। একটি গোপনীয়তা প্রকাশের কারণে। (১০) নবীজি অন্য কোন স্ত্রীকে তালাক দেননি তথা উম্মাহাতুল মু'মিনিনের মধ্য হতে। যাদেরকে তালাক দিয়েছেন, তারা উম্মাহাতুল মু'মিনিন নন। নবীজির মূল স্ত্রীর মধ্যে তাদেরকে গননা করা হয় না। (১১) এখন কোন ব্যক্তি যদি একাধিক বিবাহ করে, আর তালাক দেয়, সেটা যে কারণেই হোক না কেন; তাহলে তার তালাক প্রদানের দলীলের বৈধতা বা যৌক্তিতা হিসেবে নবিজির তালাক প্রদানের কথা এভাবে সামনে আনতে হবে? তালাক দেয়াটা কি গর্বের বিষয়? এটি কি ফলাও করে মিডিয়ায় প্রচারের মত বিষয়? স্বয়ং আল্লাহর কাছে এটি সবচাইতে অপছন্দের জিনিস। সেটাকে গর্বের সঙ্গে প্রচার করার যৌক্তিকতা কোথায়? নবীজি নিজেও তালাকের ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। সেখানে নিজের তালাকের জাস্টিফাই করতে ভুল তথ্য দিয়ে নবীজির তালাক সামনে আনাটা গাইরতহীন ব্যক্তির পরিচয়। নিজের এহেন কাজ ভ্যালিড করার জন্য নবীজির যে কোন কাজকে নিজের কাজের দলিল বানাতে হবে? নবিজীর শানে কথা বলতে কতটা সতর্ক হওয়া উচিত? তার শানে যেন গোস্তাখী না হয় কতটা সতর্ক হওয়া দরকার সেটা কি কোন ভাই বুঝবেন না? তালাক শব্দটি এমনিতেই ঘৃণীত, অপছন্দনীয়। সেখানে নিজের কাজের ডিফেন্স করতে যেয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে একথা বলে দেয়া যেঃ নবীজিও ৬ টি তালাক দিয়েছেন, এমন কথা নিঃসন্দেহে বেয়াদবি। স্ত্রীদের মধ্য হতে শুধু হযরত হাফসা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে তালাক দিয়েছেন, যিনি স্বীকৃত মুল স্ত্রী। যার সঙ্গে ঘর সংসার করেছেন। আর বাকি যেসব মহিলার বর্ণনা সে ব্যাপারে প্রথম কথা হলোঃ সেসমস্ত বর্ননাগুলো ইখতিলাফে ভরপুর। চুপ থাকতে বলা হয়েছে। সুনিশ্চিত কোন কথা বলা নিষেধ। তাহলে কি কোন ব্যক্তির এই অধিকার আছে যে বলবে আমি ৭ জনকে তালাক দিয়েছি, আমার নবীও ৬ জনকে তালাক দিয়েছেন! দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছেঃ এমন মহিলাদের সঙ্গে তিনি কোনরুপ ঘর সংসারই করেননি। রাত যাপন করেননি, মিলিত হননি। তারা তো মুল স্ত্রীর অধিকারই অর্জন করেননি, তাহলে ঢালাওভাবে তাদেরকেও রাসুলের স্ত্রী গন্য করে ৬ তালাক সংখ্যা নির্ধারণ করাটা কি ইনসাফ? আর এই তালাকপ্রাপ্তা বা তালাক দেয়ার সংখ্যা কোন কিতাবেই চূড়ান্তভাবে বর্ণিত নেই। তাহলে সেই সংখ্যাকে হাতিয়ার বানিয়ে নিজের কাজের সাফাই গাওয়ার জন্য রেফারেন্স হিসেবে পেশ করা এটা কতটুকু সমীচিন? নিঃসন্দেহে এমন কথা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়। এটা কোনরুপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ছাড়াই বর্ণনা করাটা বেয়াদবি। আল্লাহ আমাদের বাড়াবাড়ি এবং বিকৃতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন। রেফারেন্সঃ (১) মুসতাদরাকে হাকেম: ৬৭৫৩ عَنْ قَيْسِ بْنِ زَيْدٍ: " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَّقَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا خَالَاهَا ، فَبَكَتْ وَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا طَلَّقَنِي عَنْ شِبَعٍ، وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ( قَالَ لِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: رَاجِعْ حَفْصَةَ، فَإِنَّهَا صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ، وَإِنَّهَا زَوْجَتُكَ فِي الْجَنَّةِ (২) মুসলিম শরিফ: ১৪৬২ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: ( كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعُ نِسْوَةٍ، فَكَانَ إِذَا قَسَمَ بَيْنَهُنَّ، لَا يَنْتَهِي إِلَى الْمَرْأَةِ الْأُولَى إِلَّا فِي تِسْعٍ ... ) আল মুকাদ্দিমাতুল মুমাহহিদাত: ৩/৩৫৮: فهؤلاء أزواجه اللواتي لم يُختلف فيهن، فحصل العلم بنقل التواتر بهن، وهن إحدى عشرة امرأة، منهن ست من قريش: خديجة، وسودة، وعائشة، وحفصة، وأم سلمة، وأم حبيبة . وأربع من العرب: زينب بنت خزيمة، وزينب بنت جحش، وجويرية، وميمونة؛ وواحدة من بني إسرائيل: وهي صفية. توفي منهن اثنتان في حياته: خديجة أول نسائه، وزينب بنت خزيمة. وتوفي صلّى اللّه عليه وسلّم عن التسع الباقيات " انتهى. (৩) আবু দাউদ: ২১৭৮ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " أَبْغَضُ الْحَلَالِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلَاقُ ". (৪) বুখারি: ৫২৫৪, ৫২৫৫, ৫২৫৬, وعَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَأَبِي أُسَيْدٍ، قَالاَ: ( تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَيْمَةَ بِنْتَ شَرَاحِيلَ، فَلَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بَسَطَ يَدَهُ إِلَيْهَا، فَكَأَنَّهَا كَرِهَتْ ذَلِكَ ، فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ أَنْ يُجَهِّزَهَا وَيَكْسُوَهَا ثَوْبَيْنِ رَازِقِيَّيْنِ فعَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: ( أَنَّ ابْنَةَ الجَوْنِ، لَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَنَا مِنْهَا، قَالَتْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، فَقَالَ لَهَا: لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ، الحَقِي بِأَهْلِكِ ) رواه البخاري وعَنْ أَبِي أُسَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: ( خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى انْطَلَقْنَا إِلَى حَائِطٍ يُقَالُ: لَهُ الشَّوْطُ، حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى حَائِطَيْنِ، فَجَلَسْنَا بَيْنَهُمَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اجْلِسُوا هَا هُنَا! وَدَخَلَ، وَقَدْ أُتِيَ بِالْجَوْنِيَّةِ، فَأُنْزِلَتْ فِي بَيْتٍ فِي نَخْلٍ فِي بَيْتِ أُمَيْمَةَ بِنْتِ النُّعْمَانِ بْنِ شَرَاحِيلَ، وَمَعَهَا دَايَتُهَا حَاضِنَةٌ لَهَا، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: هَبِي نَفْسَكِ لِي، قَالَتْ: وَهَلْ تَهَبُ المَلِكَةُ نَفْسَهَا لِلسُّوقَةِ؟ قَالَ: فَأَهْوَى بِيَدِهِ يَضَعُ يَدَهُ عَلَيْهَا لِتَسْكُنَ، فَقَالَتْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، فَقَالَ: قَدْ عُذْتِ بِمَعَاذٍ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ: يَا أَبَا أُسَيْدٍ! اكْسُهَا رَازِقِيَّتَيْنِ، وَأَلْحِقْهَا بِأَهْلِهَا ) رواه البخاري (৫) যাদুল মাআদ: ১/১১০ فهؤلاء نساؤه المعروفات اللاتي دخل بهن، وأما من خطبها ولم يتزوجها، ومن وهبت نفسها له ولم يتزوجها، فنحو أربع أو خمس .وقال بعضهم: هن ثلاثون امرأة، وأهل العلم بسيرته وأحواله صلى الله عليه وسلم لا يعرفون هذا، بل ينكرونه " انتهى، من "زاد المعاد" (1 / 110) (৬) আল ইস্তিআব: ১/৪৬ وقال ابن عبد البر رحمه الله تعالى: " وأما اللواتي اختلف فيهن ممن ابتنى بها وفارقها ، أو عقد عليها ولم يدخل بها، أو خطبها ولم يتم له العقد منها، فقد اختلف فيهن، وفي أسباب فراقهن اختلافًا كثيرًا ، يوجب التوقف عن القطع بالصحة في واحدة منهن " انتهى، من "الاستيعاب" (1 / 46) (৭) সিয়ারু আলামিন নুবালা: ২/৪৯৫ قال الذهبي رحمه الله تعالى بعد أن ذكر جملة من هذه الروايات: " هذا ونحوه إنما أوردته للتعجب لا للتقرير " انتهى، من "سير أعلام النبلاء" (سيرة2 / 495) (৮) সুবুলুল হুদা: ১১/২২১ باب الرابع عشر في ذكر من عقد عليها ولم يدخل بها صلى الله عليه وسلم.. علي خلاف في بعضهن، هل هي ممّن عقد عليها أم لا؟ والكلام في ذلك طويل الذّيل، والخلاف فيه منتشر، حتى قال في زاد المعاد بعد أن ذكر النسوة اللاتي دخل بهن: وأما من خطبها ولم يتزوّج بها فنحو أربع أو خمس. قال الحافظ الدّمياطي: هن ثلاثون امرأة، وأهل السير وأحواله لا يعرفون هذا بل ينكرونه، والمعروف عندهم أنه بعث إلى الجونيّة ليتزوّجها، فدخل عليها ليخطبها، فاستعاذت منه، فأعاذها ولم يتزوّجها، وكذلك الكلابيّة، وكذلك من رأى بكشحها بياضا، فلم يدخل بها، والّتي وهبت نفسها له فزوّجها غيره على سور من القرآن، هذا هو المحفوظ، وإذا علم ذلك فأذكر ما وقفت عليه منهنّ. (৯) কুরতুবি: ১৭/২১১ فَأَمَّا زَوْجَاتُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اللَّاتِي فَارَقَهُنَّ فِي حَيَاتِهِ مِثْلُ الْكَلْبِيَّةِ وَغَيْرِهَا، فَهَلْ كَانَ يَحِلُّ لِغَيْرِهِ نِكَاحُهُنَّ؟ فِيهِ خِلَافٌ. وَالصَّحِيحُ جَوَازُ ذَلِكَ، لِمَا رُوِيَ أَنَّ الْكَلْبِيَّةَ الَّتِي فَارَقَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَت بغيره وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ أَحَدٌ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ إجماع" انتهى بتصرف يسير، م "تفسير القرطبي" (17/211) . ইবনে কাসির: ৬/৩৮০ قال ابن كثير: " وقوله: ( وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ ) أي: في الحرمة والاحترام، والإكرام والتوقير والإعظام، ولكن لا تجوز الخلوة بهن، ولا ينتشر التحريم إلى بناتهن وأخواتهن بالإجماع " انتهى، من " تفسير ابن كثير" (6 / 380 - 381). (১০) কুরতুবি: ১৮/১৪৮ وذكر القرطبي في تفسيره عن الكلبي قال: سبب نزول هذه الآية غضب رسول الله صلى الله عليه وسلم على حفصة لما أسر إليها حديثا فأظهرته لعائشة، فطلقها تطليقة، فنزلت الآية وهي قوله تعالى: يا أيها النبي إذا طلقتم النساء فطلقوهن لعدتهن. (১১) কুরতুবি: ১৭/২১১ فَأَمَّا زَوْجَاتُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اللَّاتِي فَارَقَهُنَّ فِي حَيَاتِهِ مِثْلُ الْكَلْبِيَّةِ وَغَيْرِهَا، فَهَلْ كَانَ يَحِلُّ لِغَيْرِهِ نِكَاحُهُنَّ؟ فِيهِ خِلَافٌ. وَالصَّحِيحُ جَوَازُ ذَلِكَ، لِمَا رُوِيَ أَنَّ الْكَلْبِيَّةَ الَّتِي فَارَقَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَت بغيره وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ أَحَدٌ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ إجماع" انتهى بتصرف يسير، م "تفسير القرطبي" (17/211)
বিস্তারিত পড়ুন

সকল প্রসঙ্গ

২৭তম রজনী
অনলাইন কোর্স
অলিম্পিক
আংটি
আধুনিক মাসআলা
আধুনিক মাসাআলা
উম্মুল মু'মিনিন
ওকালতি
কাফফারা
কাযা
কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস
ক্রিকেট
ক্রিপ্টোকারেন্সি
ক্র্যাকড
খেলাধুলা
খেলাধুলা হতে উপার্জন
জর্দা
ডাক্তারি বিদ্যা
ডিফেন্স ফোর্স
তামাক
তারাবীহ
তালাক
দোআ
দোয়া
নবীজি
নবুয়তের সিলমোহর
নেশা
নৌবাহিনী
পাইরেটেড
পার্লামেন্ট সদস্য
পুলিশ
পেইড কোর্স
ফিদিয়া
ফুটবল
বিচারপতি
বিটকয়েন
বিড়ি
বিডিআর
ব্যবসায়
ব্যাডমিন্টন
ব্যারিস্টার
মদ
মাকরুহ
মুনাজাত
মেডিকেল
যাকাত
যাকাত-ফিতরা
রাস্তায় পাওয়া জিনিস
রোজা
রোজা ভঙ্গের কারণ
রোজার মাসআলা
রোজার মাসাআলা
রোযা ভঙ্গের কারণ
র‍্যাব
লাইলাতুল ক্বদর
লাইলাতুল বারাআত
শবে ক্বদর
শবে বরাত
শিক্ষক
সফটওয়্যার
সংবিধান
সরকারি চাকরি
সহশিক্ষা
সামরিক বাহিনী
সিগারেট
সেনাবাহিনী
স্ত্রী

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group